পরিবেশকর্মীদের নিয়ে মেয়রের মন্তব্যে বিতর্ক চলছেই

আদিগঙ্গা, বায়ুদূষণ, পূর্ব কলকাতা জলাভূমি, রবীন্দ্র সরোবর-সহ বিভিন্ন বিষয়ে পরিবেশ আদালতে মামলা করেছেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৯ ০২:০৮
Share:

ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র

‘কয়েক জন পরিবেশপ্রেমী প্রচার পাওয়ার জন্য জাতীয় পরিবেশ আদালতে চলে যাচ্ছেন।’ মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই মন্তব্য করেছিলেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যে মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। পরিবেশকর্মীদের কেউ বলছেন, মন্ত্রীর এই মন্তব্য আসলে পরিবেশ আন্দোলনের সার্থকতাই প্রমাণ করছে। আবার কেউ বলছেন, পরিবেশকর্মীদের কাজকে এ ভাবে তিনি হেয় করতে পারেন না।

Advertisement

আদিগঙ্গা, বায়ুদূষণ, পূর্ব কলকাতা জলাভূমি, রবীন্দ্র সরোবর-সহ বিভিন্ন বিষয়ে পরিবেশ আদালতে মামলা করেছেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। তিনি বলছেন, ‘‘আমরা যে ভাল কাজ করছি, মন্ত্রীর ওই মন্তব্য তার প্রমাণ। উনি আমাদের কাজকে অগ্রাহ্য করতে পারছেন না।’’ পূর্ব কলকাতা জলাভূমি ভরাট আন্দোলনে যুক্ত পরিবেশকর্মী নব দত্ত বলছেন, ‘‘এই মন্তব্য যথেষ্ট আপত্তিকর। কারণ, পূর্ব কলকাতা জলাভূমি ভরাট রুখতে সরকার পদক্ষেপ করেনি। বরং আমরা গিয়ে ব্যানার, হোর্ডিং লাগিয়ে প্রচার করেছি যে এখানে জমি কেনাবেচা যাবে না।’’ শহরে গাছের বেদি বাঁধানো নিয়ে হাইকোর্টে যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মামলা করেছিল, তার পক্ষে পরিবেশকর্মী বনানী কক্কর বলেন, ‘‘গাছের বেদি বাঁধানো সত্ত্বেও পুর প্রশাসন চুপ। তা হলে তো আদালতে যেতেই হবে!’’

বায়ুদূষণ রোধে ব্যর্থ হওয়ায় সরকারকে একাধিক বার জরিমানা করেছে পরিবেশ আদালত। ছটপুজোর ক্ষেত্রে রবীন্দ্র সরোবরে যে ভাবে আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে, সেখানেও বড় আর্থিক জরিমানার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মেয়র ওই সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, তাঁরা আদালতের রায়কে শ্রদ্ধা করেন। তার পরেই তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘‘কিন্তু আদালতকেও বলব বাস্তবকে মেনে নিয়ে কাজ করতে হবে। যদি বাস্তবকে না মেনে একতরফা স্বঘোষিত পরিবেশপ্রেমীদের কথা শুনেই বিচারব্যবস্থা চলে, তা হলে আমরা যাঁরা ন্যায়বিচারের প্রত্যাশী, তাঁদের সঙ্গে অন্যায় হবে।’’ এই বক্তব্য ঘিরেই দানা বাঁধে বিতর্ক।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন