শহরে ফের গুলি। এ বার বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার তিলজলা রোডে।
পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা শামসের আলি কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়ে এক দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। জখম হন শামসের। তাঁকে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। এই ঘটনায় মহম্মদ সোনু নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কী নিয়ে পারস্পরিক এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, সেই ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শামসের স্থানীয় এক প্রোমোটারের অধীনে কাজ করেন। যে সমস্ত জায়গায় কাজ হয়, সেখানে শ্রমিক সরবরাহ করে থাকেন শামসের। এই ঘটনায় প্রোমোটারি সংক্রান্ত কোনও সিন্ডিকেটের যোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই রাতে শামসের আলি তিলজলা রোড ধরে মোটরবাইকে করে কাছেই ব্রাইট স্ট্রিটে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন। ৬ নম্বর তিলজলা রোডের কাছে আসতেই ওয়াসিম ও সোনু নামে এলাকারই দুই যুবকের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। এই দুই যুবকই শামসের আলির পূর্ব পরিচিত। কিছু দিন আগে এই দুই যুবক ও তাঁদের অনুগামীদের সঙ্গে শামসের আলির ঝগড়া হয়।
পুলিশ জানায়, শামসের ঝগড়ার প্রসঙ্গ তুলতেই দুই যুবক তাঁর উপরে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এই সময়ে সোনু এবং ওয়াসিমের দু’জন অনুগামী এলাকার বাসিন্দা সিকন্দর ও জাহাঙ্গীর এগিয়ে এসে তাঁকে মারধর করে বলেও অভিযোগ। ঘটনার বিষয়ে পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন শামসের। অভিযোগ, জাহাঙ্গির বন্দুক দেখিয়ে গুলি করে তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে শামসেরের ডান হাতের চেটোয় জাহাঙ্গির গুলি করে। এর পরেই ওই চার যুবক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।