পথ দুর্ঘটনা ঠেকাতে শহর জুড়ে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-এর প্রচার চলছেই। তা সত্ত্বেও সচেতনতার অভাবে দুর্ঘটনায় রাশ টানা যাচ্ছে না। রবিবার দুপুরে রেড রোড ও মেয়ো রোডের সংযোগস্থলের পথ দুর্ঘটনা আরও এক বার সেই ছবিটাই স্পষ্ট করল। এ দিনের পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন পাঁচ জন। চার জন গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এক জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, এ দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ সদ্যোজাত শিশুকে নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে চেপে ডোমজুড়ের বাড়িতে ফিরছিলেন পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে তাঁর এক আত্মীয়। রাজভবনের দিক থেকে রেড রোডের দিকে যাচ্ছিল অ্যাম্বুল্যান্সটি। সেই সময়ে মেয়ো রোডের দিক থেকে বাবুঘাটের দিকে একটি গাড়ি আসছিল। পুলিশ জানিয়েছে, রেড রোড ও মেয়ো রোডের সংযোগস্থলে সিগন্যাল ভেঙে রাস্তা পেরোতে গিয়ে অন্য গাড়িটির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় অ্যাম্বুল্যান্সের। পুলিশ সূত্রের খবর, গাড়ির ধাক্কায় অ্যাম্বুল্যান্সটি রাস্তার উপর ডিভাইডারে উঠে পড়ে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় গাড়িটি।
কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশ গা়ড়ি এবং অ্যাম্বুল্যান্স থেকে আহতদের উদ্ধার করে অন্য একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে এসএসকেএমে নিয়ে যায়। সেখানেই গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয় অ্যাম্বুল্যান্সের চালক ও পূজাদেবীর আত্মীয় এবং গাড়িচালক ও তাঁর সহকারীকে। তবে পূজাদেবী ও তাঁর সদ্যোজাত শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মাস কয়েক আগেও বেপরোয়া গতিতে আসা একটি অ্যাম্বুল্যান্সের সঙ্গে একটি বেকারি গাড়ির সংঘর্ষে হয়। সে বার অ্যাম্বুল্যান্সটিতে কোনও রোগী ছিল না। সেই ঘটনার পরে পুলিশ অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়ে জানিয়েছিল জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রেও মানতে হবে ট্র্যাফিক আইন। এ দিনের ঘটনা ফের দেখাল নিয়ম আছে নিয়মেই।
এ দিন দুর্ঘটনার পরে মেয়ো রোড ও রোড রোডে কিছুক্ষণের জন্য যানজটের সৃষ্টি হয়। রবিবার হওয়ায় যানজট তীব্র আকার নেয়নি। দুর্ঘটনার পরে ঘটনাস্থলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। তিনি গাড়ি থেকে নেমে কর্তব্যরত ট্র্যাফিক সার্জেন্টের সঙ্গে কথা বলেন। খোঁজ নেন আহতদের। বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগে অ্যাম্বুল্যান্স ও গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে।