আবছায়া: ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে নিউ টাউন। বৃহস্পতিবার ভোরে শৌভিক দে-র তোলা ছবি।
আচমকা অন্ধকার! কলকাতা বিমানবন্দরের অফিসারদের কার্যত হতবাক করে দিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে দৃশ্যমানতা নেমে এল এক হাজার মিটার থেকে ৫০ মিটারে। এতটাই আচমকা যে কোনও বিমানকেই আগে থেকে সতর্ক করতে পারেনি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)। ফলে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের পরে কলকাতায় নামতে আসা সাতটি বিমানকে মুখ ঘুরিয়ে উড়ে যেতে হয় অন্য শহরে। পরে আকাশ পরিষ্কার হতেই সেগুলি ফিরে আসে।
আবহাওয়াবিদদের দাবি, শহরে জোলো হাওয়া বয়ে এসেছিল। তাপমাত্রা কম থাকা ও দূষণের কারণে কয়েক মিনিটেই জমাট বাঁধে ধোঁয়াশা।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, সকালে প্রধান রানওয়ে দিয়েই বিমান ওঠানামা করছিল। আধুনিক যন্ত্র থাকায় দৃশ্যমানতা ৩৫০ মিটারে নামলেও অসুবিধা হয় না। কিন্তু তা ৫০ মিটারে নেমে যাওয়ায় দুবাই থেকে আসা এমিরেট্স, দিল্লির স্পাইসজেট ও গো, মুম্বইয়ের এয়ার ইন্ডিয়া এবং বেঙ্গালুরু ও চেন্নাইয়ের ইন্ডিগোর বিমান কলকাতায় নামতে না পেরে অন্য শহরে উড়ে যায়। বিমানবন্দরের এক কর্তার কথায়, ‘‘কলকাতা থেকে দিল্লি যেতে চারটি বিমান রানওয়ের কাছে অপেক্ষা করছিল। এক ঘণ্টার বেশি সময় আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়ায় এয়ার ইন্ডিয়া, বিস্তারা, জেট ও ইন্ডিগোর ওই বিমানগুলি ফিরে আসে পার্কিং বে-তে।’’
জানা গিয়েছে, সকাল ৯টার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। একসঙ্গে ১৮টি বিমান চক্কর কাটতে থাকে। তখন কলকাতায় নামতে আসে এয়ার ইন্ডিয়ার ডিব্রুগড় উড়ান। ১৮ জনের পরে নামতে হবে জেনে জ্বালানি বাঁচাতে ভুবনেশ্বরে অপেক্ষা করেন পাইলট। কলকাতার আকাশ ফাঁকা হলে ফেরেন।
আরও পড়ুন: ট্রেনের হদিস দেবে উপগ্রহই
কিন্তু শুধু বিমানবন্দর ও লাগোয়া রাজারহাট, নিউ টাউনেই কেন এমন হল? গোকুলবাবুর ব্যাখ্যা, এখানে জলাভূমি থাকায় ও মাত্রাতিরিক্ত দূষণে এটা হয়েছে। বাতাসের ধূলিকণা কুয়াশায় মিশে তাকে গাঢ় করে তোলে।