Arindam Basu Hotel official missing Investigation accident

হোটেল-কর্তার নিখোঁজ তদন্তে এ বার ফরেন্সিক দল

পশ্চিম বন্দর থানার পুলিশ এবং লালবাজারের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৮ ১৫:২৭
Share:

অরিন্দম বসু

কাটতে চলল প্রায় ৭২ ঘণ্টা। কিন্তু, এখনও হদিস নেই নিখোঁজ হোটেল কর্তা অরিন্দম বসুর। গত শনিবার বিকেলে পিকনিক থেকে ফেরার পথে গঙ্গায় তলিয়ে যান তিনি। নিখোঁজ-তদন্তে এ বার ফরেন্সিক দল ওই লঞ্চে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করল। মঙ্গলবার পশ্চিম বন্দর থানার পুলিশ এবং লালবাজারের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

‘শিবানী’ নামে যে লঞ্চটি থেকে সে দিন পড়ে গিয়েছিলেন অরিন্দম সেটি খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। যে সিঁড়ি থেকে অরিন্দম সে দিন জলে পড়ে যান, সেটাও ভাল করে পর্যবেক্ষণ করা হয়। সিঁড়িটির একটি দিক ভাঙা ছিল। তদন্তকারীরা বোঝার চেষ্টা করেন, সেই ভাঙা জায়গা থেকে দুর্ঘটনা ঘটা কতটা সম্ভব। পাশাপাশি, গঙ্গার ঠিক যে জায়গায় লঞ্চ থেকে জলে পড়ে গিয়েছিলেন অরিন্দম, সেখানকার জলের গভীরতাও মাপা হয়।

গত শনিবার সকাল‌ে উলুবেড়িয়ার ৫৮ নম্বর গেটের কাছে একটি ভাড়া করা লঞ্চে সহকর্মীদের সঙ্গে পিকনিক করতে যান অরিন্দম বসু। লঞ্চে মোট ৩৫ জন যাত্রী ছিলেন। ওই দিন বিকেলে পিকনিক করে ফেরার পথে হাওড়ার নাজিরগঞ্জের কাছে অরিন্দম লঞ্চের সামনে সারেঙের কেবিনের দিকে যাওয়ার পথে গঙ্গায় পড়ে তলিয়ে যান তিনি। পরে অরিন্দমবাবুর স্ত্রী অদিতি বসু পশ্চিম বন্দর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। শনিবার, রবিবারের পরে সোমবারও গঙ্গায় ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানো হলেও খোঁজ মেলেনি অরিন্দমবাবুর। যদিও, দুর্ঘটনার তত্ত্ব জোরালো হলেও খুনের অভিযোগ দায়ের হওয়ার বিষয়টিকে পুলিশ গুরুত্ব দিয়েই দেখছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: হোটেল-কর্তা নিখোঁজে ইঙ্গিত দুর্ঘটনার দিকেই

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন