সোদপুর-বারাসত রোড

ফুটপাথ জবরদখল, পথচারী রাস্তায়

সোদপুর স্টেশন রোডের ফুটপাথ আগেই দখল হয়ে গিয়েছিল। এ বার দখল হচ্ছে মূল রাস্তাও। এমন অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীদের। সোদপুর স্টেশনের পূর্ব দিকে সোদপুর-বারাসত রোডের উপরে আগেও দখলদারির দৌরাত্ম্য ছিল। এখন তা দ্রুত হারে বাড়ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়েরা। বিটি রোড থেকে শুরু হয়ে সোদপুর-বারাসত রোড সোদপুর হয়ে মধ্যমগ্রাম চৌমাথা পর্যন্ত বিস্তৃত।

Advertisement

জয়তী রাহা

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৫ ০০:০৪
Share:

ঝুঁকির যাতায়াত। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়

সোদপুর স্টেশন রোডের ফুটপাথ আগেই দখল হয়ে গিয়েছিল। এ বার দখল হচ্ছে মূল রাস্তাও। এমন অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীদের। সোদপুর স্টেশনের পূর্ব দিকে সোদপুর-বারাসত রোডের উপরে আগেও দখলদারির দৌরাত্ম্য ছিল। এখন তা দ্রুত হারে বাড়ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়েরা।
বিটি রোড থেকে শুরু হয়ে সোদপুর-বারাসত রোড সোদপুর হয়ে মধ্যমগ্রাম চৌমাথা পর্যন্ত বিস্তৃত। রাস্তার দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০ কিলোমাটার। বিটি রোড থেকে সোদপুর স্টেশন পর্যন্ত অংশ স্থানীয় ভাবে সোদপুর স্টেশন রোড নামে পরিচিত। স্টেশন পেরিয়ে এই রাস্তা অমরাবতী, এইচ বি টাউন, ঘোলা, বকুলতলা হয়ে সোজা চলে গিয়েছে বারাসতের দিকে। গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা দিয়ে প্রতি দিন অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করেন। চলে প্রচুর গাড়িও। তবু ঝুঁকি নিয়ে পথচারীদের রাস্তায় নামতে হয়। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, আগের বাম প্রশাসনও এই বিষয়ে উদ্যোগী হয়নি। বর্তমান তৃণমূল বোর্ডও নির্বিকার। ফুটপাথে কোথাও রোল-চাউমিনের স্টল। কোথাও পোশাকের পসার নিয়ে হাজির হকার। কোথাও বড় দোকান ফুটপাথের উপরেই তাঁদের পসরা সাজিয়েছে। নিত্যযাত্রী এবং বাসিন্দাদের আশঙ্কা, যে ভাবে চলছে তাতে রাস্তার একাংশও দখল হয়ে যাবে।

Advertisement

ঘোলার বাসিন্দা সমর সাহা বলেন, ‘‘আগে ফুটপাথ ও রাস্তা থেকে মাঝেমধ্যে জবরদখলকারী সরিয়ে নয়ানজুলি সাফ করা হত। নতুন বোর্ড আসার পরে তেমন কিছু হয়নি।’’ বাসিন্দাদের একাংশের আরও অভিযোগ, নয়ানজুলি বদলে নর্দমা হচ্ছে। ফলে জলবহন ক্ষমতা বাধা পাবে। এমনিতেই জমা জলের সমস্যা রয়েছে অঞ্চলগুলিতে। স্থানীয় বাসিন্দা সৌম্য কর্মকারের অভিযোগ, ‘‘স্টেশন রোড দিয়ে চার বছরের ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। ফুটপাথের এমন অবস্থা যে হাঁটার উপায় নেই। জবরদখল হয়ে থাকে। এ ছাড়াও রয়েছে যত্রতত্র পার্কিংয়ের সমস্যা। সন্ধ্যার পরে ফুটপাথ দখল করে চলা খাবারের দোকানগুলি খুলে যায়। তখন রাস্তায় বেঞ্চ পেতেই অস্থায়ী রেস্তোঁরা শুরু হয়।’’ অন্য এক বাসিন্দার অভিযোগ, সোদপুর বারাসত রোডের উপরে ঘোলার দিকে অনেক বছর ধরেই সকাল-সন্ধ্যা কাঁচা বাজার বসে। নিয়ন্ত্রণ দূর অস্ত্, এখন সেখানে ব্যবসায়ীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ে গাড়ির গতি কমছে। ঘটছে দুর্ঘটনাও।

পানিহাটি পুরসভার প্রাক্তন উপপ্রধান সিপিআইয়ের পঙ্কজ দাস বলেন, ‘‘ফুটপাথ দখলের সমস্যা আমাদের সময়েও ছিল। যেহেতু রাস্তাটি পিডব্লিউডি-র। তাই পিডব্লিউডি এবং পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে মাঝেমাঝে অভিযান চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হত। এখন এই সব কিছু হয় না। যত্রতত্র ব্যবসার জন্য অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া রয়েছে।’’ পিডব্লিউডি সূত্রে খবর, জবরদখল হটানোর কাজ স্থানীয় প্রশাসনের। আমরা সহযোগিতা করতে পারি। পানিহাটি পুরসভার বর্তমান উপপ্রধান তৃণমূলের মলয় রায় বলেন, ‘‘নয়ানজুলিগুলিকে আন্ডার গ্রাউন্ড নর্দমা করে বিটি রোডের নীচে নিকাশির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে পিডব্লিউডি। আপাতত স্টেশন রোড সংলগ্ন দু’ধারেই এই কাজ হবে। তবে হকার নিয়ন্ত্রণে যতটা কঠোর হওয়া উচিত ছিল ততটা আমরা হতে পারিনি। নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করব। জানি, এর জন্য বেশ কিছু দুর্ঘটনাও ঘটছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন