Mahogany

ঝড়ে উপড়ে পড়া মেহগনি নিলামে তুলবে বন দফতর

পুরসভা সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মেহগনির মতো দামি কাঠের গুঁড়ি বেশি দিন ফেলে রাখা হবে না। বাজারে এই কাঠের বিপুল চাহিদা। তাই যত দ্রুত সম্ভব সেগুলি নিলামে বিক্রি করা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২০ ০২:০৮
Share:

ফাইল চিত্র।

আমপানের তাণ্ডবে শহরের বিভিন্ন জায়গায় উপড়ে পড়া মেহগনি গাছের কাঠ নিলামে তোলার জন্য বন দফতরকে চিঠি পাঠাল কলকাতা পুরসভা।

Advertisement

পুরসভা সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মেহগনির মতো দামি কাঠের গুঁড়ি বেশি দিন ফেলে রাখা হবে না। বাজারে এই কাঠের বিপুল চাহিদা। তাই যত দ্রুত সম্ভব সেগুলি নিলামে বিক্রি করা হবে। আর সেই নিলামের দায়িত্ব দেওয়া হবে বন দফতরকে।

পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা উদ্যান দফতরের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বললেন, ‘‘আমপানে যে সমস্ত গাছ পড়ে গিয়েছে, তার মধ্যে বেশ কিছু দামি গাছও রয়েছে। তার অধিকাংশই মেহগনি। এই ধরনের গাছের বাজারে বিপুল চাহিদা। ওই সমস্ত কাঠ নিলাম করতে বন দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ তিনি জানান, নিয়ম অনুযায়ী, ওই কাঠ বিক্রি করে বন দফতর যে অর্থ পাবে, তার একাংশ পুরসভাকে দেওয়া হবে।

Advertisement

পুরসভার এক আধিকারিক জানান, আমপানে শহর জুড়ে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজার গাছ উপড়ে পড়েছিল। পুরসভার উদ্যান দফতর পড়ে যাওয়া গাছ রাস্তার মাঝখান থেকে সরালেও কেটে ফেলা ডাল, পাতা, গুঁড়ি পাশেই স্তূপীকৃত করে রেখে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। সেখান থেকেই বেশ কিছু দামি গাছ চুরি হয়ে গিয়েছে। পরে পুরকর্মীরা ডালপালা কেটে সরিয়ে ফেললেও বড় গুঁড়ি তখনই সরাতে পারেননি। শেষমেশ বড় বড় লরি নিয়ে এসে ওই সব গুঁড়ি সরানো হয়।

পুর কর্তৃপক্ষ জানান, আপাতত যে সমীক্ষা করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, বট, অশ্বত্থ-সহ বহু গাছের গুঁড়ি বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেগুলি কেউ নিতেও চাইছেন না। ওই সব গুঁড়ি ধাপার মাঠে এক জায়গায় জড়ো করে রাখা হয়েছে। তবে মেহগনি গাছের গুঁড়িগুলিকে বেছে শহরের চারটি জায়গায় যত্ন করে রাখা হয়েছে। ওই জায়গাগুলি হল— দেশবন্ধু পার্ক, পার্ক সার্কাস ময়দানের একাংশ, যোধপুর পার্ক এবং কলকাতা পুরসভার ৯ নম্বর বরো অফিস চত্বরের একাংশ। বন দফতরের এক আধিকারিক জানান, সরকারি নিয়ম মেনেই ওই সমস্ত কাঠের নিলাম হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন