নেপালি তরুণীকে গণধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত চার দুষ্কৃতী

২০১৬ সালের মে মাসে পাঁচ নম্বর সেক্টর থেকে নেপালের নাগরিক ওই তরুণীকে জোর করে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে রাতভর নিউ টাউনের বিভিন্ন রাস্তায় ঘোরা হয়। অভিযোগ, গাড়িতেই গণধর্ষণের শিকার হন ওই তরুণী। পরের দিন সকালে গাড়িটি যখন সল্টলেকের ২০৬ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল, তখন ওই তরুণী গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে রক্ষা পান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:২৭
Share:

—প্রতীকী ছবি।

এক তরুণীকে অপহরণ করে তাঁর উপরে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে কয়েক বছর আগে চার জনকে গ্রেফতার করেছিল বিধাননগর (পূর্ব) থানার পুলিশ। সোমবার সেই মামলায় ধৃতদের দোষী সাব্যস্ত করল বারাসতের সপ্তম অতিরিক্ত দায়রা আদালত। আজ, মঙ্গলবার সাজা ঘোষণা হবে তাদের।

Advertisement

২০১৬ সালের মে মাসে পাঁচ নম্বর সেক্টর থেকে নেপালের নাগরিক ওই তরুণীকে জোর করে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে রাতভর নিউ টাউনের বিভিন্ন রাস্তায় ঘোরা হয়। অভিযোগ, গাড়িতেই গণধর্ষণের শিকার হন ওই তরুণী। পরের দিন সকালে গাড়িটি যখন সল্টলেকের ২০৬ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল, তখন ওই তরুণী গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে রক্ষা পান।

এই মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় জানান, অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। সর্বোচ্চ শাস্তি ২০ বছর জেল। তিনি জানান, ধর্ষিতা পুলিশকে বলেছিলেন, ঘটনার পরের দিন সকালে গাড়িটি সল্টলেকের ভিতর দিয়ে যাচ্ছিল। ওই তরুণী নেপালি হলেও বাংলা বুঝতে পারেন। কিন্তু ধর্ষকেরা ভেবেছিল, তিনি বাংলা বোঝেন না। তাদের আলোচনা শুনে ওই তরুণী বুঝতে পারেন, গাড়িতে থাকা লোহার রড দিয়ে তাঁকে মেরে মধ্যমগ্রামের কোনও রাস্তায় ফেলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল ওই দুষ্কৃতীরা।

Advertisement

সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, সাধারণত সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রেই বৈদ্যুতিন প্রমাণকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে ধরা হয়। কিন্তু অন্যান্য অপরাধেও যে বৈদ্যুতিন প্রমাণ জরুরি হয়ে উঠেছে, তার উদাহরণ হয়ে থাকল এই মামলা। তাঁর দাবি, ওই তরুণী গাড়ি থেকে লাফ দেওয়ার সময়ে এক অভিযুক্তের মোবাইল গাড়ির বাইরে পড়ে যায় আর তরুণীর মোবাইল রয়ে যায় গাড়ির ভিতরে। পরে দু’টি ফোনই বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। সেই দুই ফোনই অপরাধ প্রমাণ করতে সাহায্য করেছে পুলিশকে। প্রমাণ করা গিয়েছে যে, ওই রাতে তরুণী এবং অভিযুক্তের অবস্থান একই জায়গায় ছিল।

অভিযুক্তদের আইনজীবী তীর্থঙ্কর পাল বলেন, ‘‘বিভিন্ন অসঙ্গতির কথা মামলা চলাকালীন আমরা উল্লেখ করেছি। বৈদ্যুতিন প্রমাণ হিসেবে যা দাখিল করা হয়েছে, তা পুলিশের সাজানো। তা ছাড়া, অভিযোগকারিণীর বক্তব্যেও অসঙ্গতি রয়েছে। আমরা ঠিক বিচার পাইনি। তাই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement