Calcutta News

মিলছে না সেনার অনুমতি, ময়দানের বাজি বাজারের ভবিষ্যৎই অনিশ্চিত

কলকাতা পুলিশের সহযোগিতায় প্রতি বছরই ধর্মতলার শহিদ মিনার চত্বরে অস্থায়ী ভাবে বাজি বাজার তৈরি হয়। এখানে কয়েক লক্ষ টাকার বেচাকেনাও হয়।

Advertisement

সোমনাথ মণ্ডল

শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৮ ২১:৩৫
Share:

শহরবাসী ছাড়াও জেলা থেকেও ধর্মতলায় বাজি কিনতে আসেন বহু মানুষ। —ফাইল চিত্র।

ময়দানের বাজি বাজারের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। সেনাবাহিনীর অনুমতি পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। কালীপুজোর আর বেশি দিন বাকি নেই। এখনও পর্যন্ত অনুমতি না আসায়, বাজি বিক্রেতাদের মাথায় হাত! আদৌ ছাড়পত্র মিলবে কি না, তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি গড়িয়েছে দিল্লি পর্যন্ত।

Advertisement

কলকাতা পুলিশের সহযোগিতায় প্রতি বছরই ধর্মতলার শহিদ মিনার চত্বরে অস্থায়ী ভাবে বাজি বাজার তৈরি হয়। এখানে কয়েক লক্ষ টাকার বেচাকেনাও হয়। শেষ পর্যন্ত যদি অনুমতি না পাওয়া যায়, ব্যবসায়িক ভাবে ক্ষতি তো হবেই, বিপাকে পড়বেন ক্রেতারাও। শহরবাসী তো বটেই, এমনকি জেলা থেকেও এখানে বাজি কিনতে আসেন বহু মানুষ। হরেক রকমের বাজিও পাওয়া যায়। বাইরে থেকেও আসে বিভিন ধরনের আতশবাজি মেলে এখানে।

ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশ টালা পার্কে বাজি বাজারকে আয়তনে বড় করে বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। সেনার অনুমতি না পাওয়া গেলে ময়দানের বাজি বাজারের দোকানদের টালা পার্কে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সে রকম তোড়জোড়ও শুরু হয়েছে পুলিশের তরফে। বাজি বিক্রেতাদের তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন
কালীপুজোর চাঁদা ৪০ হাজার! দিতে না চাওয়ায় ১০ দোকানে তালা পড়ল দমদমে

ময়দান এলাকাটি সেনার নিয়ন্ত্রণে। তাই ময়দানের বাজি বাজারের জন্য সেনার অনুমতি নিতে হয়। গত বছর পর্যন্ত অনুমতি মিলেছিল। কিন্তু এ বছর সেই অনুমতি এখনও আসেনি। গত কয়েক বছর ধরেই অবশ্য বাজি বাজার আকারে ছোট হয়ে গিয়েছে। প্রথমের দিকে ৮০টি দোকান ছিল। এ বছর কমে ৪৫টি দোকান বসার কথা ছিল। সারা বাংলা আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় বলেন, “একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। তবে আশা করছি হয়তো সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।”

আরও পড়ুন
এও এক কলকাতা! পানি-পথের যুদ্ধ জিততে বাসিন্দাদের অস্ত্র নৌকা

ময়দান ছাড়াও, টালা পার্ক, বেহালা, লেক টাউন পাটুলি, বিজয়গড়ে বাজি বাজার হয়। এ বারও ওই জায়গায় বাজি বাজার হওয়ার কথা। শুক্রবার পুলিশের সঙ্গে বাজি বিক্রেতাদের বৈঠক হয়। সেনা বাহিনীর প্রতিনিধিরও আসার কথা ছিল। কিন্তু সেনার তরফে কেউ আসেনি। ফলে আশঙ্কার মেঘ ক্রমেই কালো হয়ে উঠেছে।

অন্য দিকে রবিবার রাজ্য দূষণ পর্ষদের প্রতিনিধিরা বাজি পরীক্ষা করবেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাত ৮ থেকে ১০ পর্যন্ত আতশবাজি পোড়ানোর অনুমতি রয়েছে। সেই নির্দেশ মেনেই কলকাতা পুলিশ নজরদারি চালাবে। এর অন্যথা হলেই, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement