ট্রেড লাইন্সেসই নেই জি ডি বিড়লার

স্কুলের এক মুখপাত্র জানান, ট্রেড লাইসেন্স নেই জেনেও পুরসভা কি এত কাল ঘুমোচ্ছিল? লাইসেন্স না থাকলে বা টাকা বাকি থাকলে তো অনেকের জলের লাইন, নিকাশি লাইন কেটে দেয় পুরসভা। এ ক্ষেত্রে তা করা হল না কেন? পুরসভার অন্দরেই কথা উঠেছে এ নিয়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:০৬
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে ব্যবসা চালালেও এত কাল পুরসভার কোনও ট্রেড লাইসেন্স ছিল না এম পি বিড়লা স্কুলের। সম্প্রতি এ নিয়ে খবর বেরোতেই পুরসভা থেকে ট্রেড লাইসেন্স করিয়েছেন ওই স্কুল কতৃর্পক্ষ। এ বার একই অভিযোগ উঠল ১১৮ নম্বর টালিগঞ্জে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রোডের জি ডি বিড়লা স্কুলের বিরুদ্ধে। পুরসভার লাইসেন্স দফতরের এক আধিকারিক জানান, ১৯৮৪ সাল থেকে ওই স্কুল কতৃর্পক্ষ ব্যবসা করছেন ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই। লাইসেন্স ফি বাবদ বকেয়া হয়েছে প্রায় ২ লক্ষ টাকা। লাইসেন্স করানোর জন্য ফর্মও দেওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু এখনও তা জমা পড়েনি। সম্প্রতি ওই স্কুলেই এক ছাত্রীর সঙ্গে দুই শিক্ষকের অশালীন আচরণের অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য।

Advertisement

সেই স্কুল এত কাল ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া কী ভাবে ব্যবসা চালিয়েছে, এখন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে পুরসভায়।

কী বলছেন ওই স্কুল কতৃর্পক্ষ?

Advertisement

স্কুলের এক মুখপাত্র জানান, ট্রেড লাইসেন্স নেই জেনেও পুরসভা কি এত কাল ঘুমোচ্ছিল? লাইসেন্স না থাকলে বা টাকা বাকি থাকলে তো অনেকের জলের লাইন, নিকাশি লাইন কেটে দেয় পুরসভা। এ ক্ষেত্রে তা করা হল না কেন? পুরসভার অন্দরেই কথা উঠেছে এ নিয়ে। এক পুরকর্তার মন্তব্য, ‘‘আসলে পুর প্রশাসনও এ ব্যাপারে নীরব ছিল। এখন জি ডি বিড়লা নিয়ে হইচই পড়তে ওদের টনক নড়েছে।’’ ট্রেড লাইসেন্স না থাকায় এখন স্কুলের দিকে আঙুল উঠছে। এমনকী পুর প্রশাসনও এখন জানিয়ে দিয়েছে, ট্রেড লাইসেন্স না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন