প্রতীকী চিত্র।
এসএসকেএমের মেডিকো লিগাল পরীক্ষায় শিশুটির উপর নির্যাতনের প্রমাণ মেলেনি। জিডি বিড়লা কাণ্ডে তাই এ বার শিশুটির হিস্টোপ্যাথলজি পরীক্ষা করা হচ্ছে, জানিয়েছেন লালবাজারের গোয়েন্দাকর্তারা।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, গত ৩০ নভেম্বর শিশুটির পরীক্ষা করেছিলেন ফুলবাগান এলাকার একটি নার্সিংহোমের চিকিৎসক। কিছু একটা অস্বাভাবিকতা রয়েছে বলে শিশুটির বাবা-মাকে জানিয়েছিলেন তিনি। তার পরেই এসএসকেএমে শিশুটির পরীক্ষা হয়। সে সময়ে নির্যাতনের পক্ষে জোরালো প্রমাণ মেলেনি। কিন্তু শিশুটির মা-বাবার দাবি অনুযায়ী মাঝেমধ্যেই যন্ত্রণায় ছটফট করছে খুদে, জানাচ্ছেন গোয়েন্দারা। এর পর ৬ নভেম্বর এসকেএমএমে মেডিকো লিগাল পরীক্ষার পরে অসুস্থবোধ করায় শিশুটিকে সল্টলেক এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ওখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকও জানিয়ে দেন, শিশুটি আপাতত সুস্থ। কোনও ব্যথা নেই।
এর পরেই হিস্টোপ্যাথলজি পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তদন্তকারীদের কথায়, মেডিকো লিগাল পরীক্ষার সময়েই মূত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। জখম স্থান থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই নমুনা পরীক্ষার জন্য সরকারি ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে।
এক চিকিৎসকের কথায়, ‘‘কোনও সংক্রমণের কারণে ওই শিশুর গোপন অঙ্গ জখম হয়ে থাকতে পারে। তা থেকে রক্তক্ষরণ হয়ে থাকতে পারে।’’ সংক্রমণ হয়ে থাকলে, সেটা ধরা পড়বে হিস্টোপ্যাথলজি পরীক্ষায়। কী কারণে ওই ব্যথা, তা-ও জানা যাবে।