বিমানের ভিতরে ওত পেতে সোনা-সহ এক যাত্রীকে ধরে ফেললেন কলকাতা বিমানবন্দরের শুল্ক দফতরের অফিসারেরা। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা নাগাদ।
শুল্ক দফতর সূত্রের খবর, প্রায় কোটি টাকার সোনা লুকোনো ছিল বিমানের শৌচালয়ের ডাস্টবিনের পিছনে। তল্লাশি করে তার হদিসও পান অফিসারেরা। কিন্তু, ইচ্ছা করেই সেখান থেকে সরানো হয়নি সেই সোনা। বিমানটি দাঁড়িয়েছিল কলকাতায়। সেখান থেকে যাত্রী তুলে মুম্বই যাওয়ার কথা। শুল্ক অফিসারদের সন্দেহ হয়েছিল, কোনও যাত্রীর নিশ্চয়ই ওই সোনা পাচার করার কথা। তিনি বিমানে উঠে সোনা নিতে অবশ্যই শৌচালয়ে যাবেন।
যেমনটা ভাবা হয়েছিল, ছবির মতো পরপর তেমনই ঘটে। বিমানে ওঠার পরেই শৌচালয়ে যান এক যুবক। প্রায় পাঁচ মিনিট শৌচালয়ে থাকার পরে তিনি বেরিয়ে আসেন। শুল্ক অফিসারেরা যাত্রী সেজে বসেছিলেন অন্য আসনে। ওই যুবক শৌচালয় থেকে বেরোতেই তাঁকে ধরে তল্লাশি করা হয়। তাঁর প্যান্টের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে চারটি সোনার বার। ওজন প্রায় চার কিলোগ্রাম। যার বাজার দর এক কোটি টাকারও বেশি বলে শুল্ক দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। মহম্মদ ওসমান নামে চেন্নাইয়ের ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। চেন্নাইয়েরই যে ব্যক্তি ওসমানকে শৌচালয় থেকে সোনা নিয়ে মুম্বই পৌঁছে দিতে বলেছিলেন, তাঁরও খোঁজখবর শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, স্পাইস জেটের ওই বিমানটি এ দিন সকালে ব্যাঙ্কক থেকে কলকাতা এসে পৌঁছয়। ইদানীং কলকাতায় পাচার হওয়া প্রায় একশো শতাংশ সোনাই নিয়ে আসা হচ্ছে ব্যাঙ্কক থেকে। তাই ব্যাঙ্কক থেকে আসা বেশির ভাগ বিমানের উপরেই কড়া নজর থাকে শুল্ক বিভাগের অফিসারদের। দিন কয়েক আগে ব্যাঙ্কক থেকে আসা একটি বিমানের আসনের তলা থেকে পাওয়া গিয়েছিল সোনা। এ দিনও নির্দিষ্ট খবর ছিল শুল্ক অফিসারদের কাছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কক থেকে কলকাতায় আসার সময়ে কোনও যাত্রী ওই সোনা লুকিয়ে রেখেছিলেন শৌচালয়ের ভিতরে। ওসমানের কাজ ছিল সেই সোনা মুম্বই পৌঁছে দেওয়া।
এক শুল্ক অফিসারের কথায়, ‘‘পাচারকারীরা এখন বিভিন্ন লোকের কাজ এ ভাবেই ভাগ করে দিচ্ছে। এক জন সোনা ব্যাঙ্কক থেকে তুলে বিমানে করে কলকাতায় নিয়ে আসবে। অন্য এক জন কলকাতা থেকে তা মুম্বই নিয়ে যাবে।’’ তবে এই সোনা যিনি ব্যাঙ্কক থেকে নিয়ে এসেছেন তার হদিস এখনও পাওয়া যায়নি।