পদযাত্রায় এলাকার বাসিন্দারা। রবিবার, নিমতায়। — নিজস্ব চিত্র
মরণোত্তর অঙ্গদানে আগ্রহ বাড়ছে। সম্প্রতি এমন নজির দেখেছে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্য। দেখেছে সরকারি সহযোগিতায় গ্রিন করিডর তৈরি করে দ্রুত অঙ্গ স্থানান্তর ও চিকিৎসকদের দ্রুত সক্রিয় হওয়ার উদ্যোগও। এ বার তা আরও বাড়াতে সচেতনতার প্রচার বৃদ্ধির দাবি উঠল। রবিবার নিমতা হাইস্কুলে চিকিৎসক অমিতাভ বসু স্মৃতিরক্ষা কমিটির উদ্যোগে হয় পদযাত্রা ও আলোচনাচক্র। সেখানে পিজি-র চিকিৎসক গৌরব রায় বলেন, ‘‘কলকাতায় প্রথম অঙ্গদানের ঘটনায় দেখেছি দাতার পরিবারের হয়রানি। আলোচনা, প্রচার সত্ত্বেও সরকার উদ্যোগী না হলে দাতা ও গ্রহীতা পরস্পরের খোঁজ পাবেন কী করে? অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে হৃদ্স্পন্দন বন্ধ হওয়া বা মস্তিষ্কের মৃত্যুর পরেই বেশিক্ষণ অপেক্ষার উপায় থাকে না। একমাত্র সরকারই পারে ‘সিঙ্গল উইন্ডো’র মাধ্যমে দ্রুত এটা বাস্তবায়িত করতে।’’ ১৫ বছর আগে সময়মতো চিকিৎসার অভাবে প্রাণ হারিয়েছিলেন তরুণ চিকিৎসক অমিতাভ। তার পরেই দাতব্য চিকিৎসার পণ নিয়েছিলেন তাঁর বন্ধুরা। তাতে এখন সামিল এই প্রজন্মের বহু চিকিৎসকও। এ দিন কমিটির তরফে পুলক পাল বলেন, ‘‘কাছাকাছি হাসপাতাল নেই। সরকারি সহায়তা থাকলে মানুষকে চিকিৎসাটুকু দিতে পারব।’’