রাজভবন থেকে ফেরার পথে সুরঞ্জন দাস। শনিবার। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যপালের কাছে গিয়ে অব্যাহতি চাইবেন বলে জানিয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। শনিবার রাজভবনেও গেলেন তিনি। তবে পদত্যাগের কথা জানাতে নয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁর কী করণীয়, সেই বিষয়ে আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর ‘পরামর্শ’ চাইতে।
রাজভবন সূত্রের খবর, উপাচার্য আচার্যকে জানান, তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ার জন্য বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি চাপ নিতে পারছেন না। তাই এখন তাঁর কী করণীয়, আচার্য সে ব্যাপারে পরামর্শ দিন। আচার্য অবশ্য তাঁকে জানিয়েছেন, এই বিষয়ে তাঁর কিছু বলার নেই। শারীরিক বিষয় চিকিৎসক বুঝবেন। উপাচার্যকে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলার পরামর্শও দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা বিভাগের ছ’টি বিষয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা ফেরানোর দাবিকে কেন্দ্র করে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। পরে কর্মসমিতির সিদ্ধান্তে প্রবেশিকা পরীক্ষা ফেরে। কিন্তু কর্মসমিতির ওই সিদ্ধান্তে সায় দেননি উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য। তখনই উপাচার্য জানিয়েছিলেন, রাজ্যপালের কাছে গিয়ে তিনি ও সহ-উপাচার্য অব্যাহতি চাইবেন। শনিবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ রাজভবনে যান সুরঞ্জনবাবু। সঙ্গে ছিলেন সহ-উপাচার্য প্রদীপ কুমার ঘোষ। তবে সাক্ষাতের প্রায় পুরোটাই আচার্যের সঙ্গে উপাচার্যের একান্তে কথা হয়। প্রদীপবাবু ছিলেন পাশের ঘরে। সাক্ষাতের শেষ পর্যায়ে আচার্যের সঙ্গে প্রদীপবাবুর সামান্য সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। তবে প্রবেশিকা পরীক্ষা ফেরার পর থেকে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে না গেলেও সহ-উপাচার্য অফিসে যান এবং কাজও করেন।
এ দিন রাজভবনের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘‘রাজ্যপাল তথা আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস দেখা করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে এবং তাঁর শারীরিক অসুস্থতা সম্পর্কে রাজ্যপালকে জানান। তিনি এটাও জানান যে, শরীরের ওপরে চাপ না দেওয়ার জন্য চিকিৎসক তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন। আচার্য তাঁকে পরামর্শ দেন প্রথমে তাঁর শরীরের প্রতি যত্নবান হতে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে নিজের কাজ করতে।’’
শিক্ষক থেকে পড়ুয়াদের অধিকাংশ আবেদন করেছেন, উপাচার্য যেন পদ ছেড়ে না যান। তা হলে কি নিজের অবস্থান পরিবর্তন করছেন উপাচার্য? সেটা জানার জন্য ফোন করলেও ফোন ধরেননি তিনি। জবাব দেননি এসএমএসেরও।