দু’দলের মারামারির অভিযোগ ঘিরে অশান্ত দত্তাবাদ

রবিবার অনিতাদের নিয়ে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় যান মেয়র তথা রাজারহাট-নিউ টাউনের বিধায়ক সব্যসাচী। ভাঙচুর হওয়া বাড়িগুলি দেখতে এ দিন তিনি দত্তাবাদেও যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৮ ০২:০৮
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

বিধাননগরের মেয়র ও কাউন্সিলরের অনুগামীদের মধ্যে মারামারির অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল দত্তাবাদে।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত ২৪ জুন। বিধানগরের বিধায়ক সুজিত বসুর ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর নির্মল দত্তের অনুগামীদের অভিযোগ, ওই দিন সন্ধ্যায় কিরণ রায় নামে এক
ব্যক্তিকে এফডি বাজারের কাছে মারধর করে মেয়র সব্যসাচী দত্তের অনুগামীরা। এর জেরে এলাকার
মহিলারা অভিযুক্ত দীপক মণ্ডল, সুরজ সিংহের বাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। যদিও দীপকের স্ত্রী অনিতা মণ্ডলের দাবি, কিরণ চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল। সেই ঘটনাকে অন্য মাত্রা দিয়ে কাউন্সিলরের নেতৃত্বে তাঁদের এবং সুরজের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। অনিতার কথায়, ‘‘কোলের বাচ্চাদের নিয়ে রাস্তায় থাকতে হয়েছে। হাসপাতালে যেতে পর্যন্ত বাধা দিয়েছিল। আমরা সব্যসাচী দত্তের দল করি, তাই কাউন্সিলরের লোকেরা হামলা করে।’’

রবিবার অনিতাদের নিয়ে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় যান মেয়র তথা রাজারহাট-নিউ টাউনের বিধায়ক সব্যসাচী। ভাঙচুর হওয়া বাড়িগুলি দেখতে এ দিন তিনি দত্তাবাদেও যান। সেই সময়ে কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ অরুণ সাঁপুইকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্তের কথায়, ‘‘দীপক, প্রসেনজিৎ, সুরজেরা ক্লাবে ঢুকে আমাকে মারধর করে।’’

Advertisement

থানা অভিযান প্রসঙ্গে এ দিন সব্যসাচী বলেন, ‘‘দত্তাবাদবাসী বেশ কিছু দিন ধরে সমাজবিরোধী এবং এক শ্রেণির পুলিশের দ্বারা আক্রান্ত। আইসি-কে সে কথা জানাতে গিয়েছিলাম। পুলিশের একাংশের মদত না থাকলে ভাঙচুরের এক সপ্তাহ পরেও ব্যবস্থা নেওয়া হল না কেন?’’ তবে কাউন্সিলর-অনুগামীকে মারধরের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন তিনি। কাউন্সিলরের অনুগামীদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘‘আইন সকলের জন্য সমান।’’ দু’পক্ষের অভিযোগ সম্পর্কে পুলিশ কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।

মেয়রের থানা যাওয়া প্রসঙ্গে নির্মলের বক্তব্য, ‘‘যাঁদের জন্য মেয়র থানায় গেলেন, তাদের পরিচয় বিধাননগরের সকলে জানে।’’ আর মেয়র বলছেন, ‘‘বাড়ির মহিলারা সমাজবিরোধী নন। কে কী বলল, তার জবাব দেওয়া আমার কাজ নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন