গোলমাল: রাজারহাটের সেই স্কুলে বিক্ষোভ অভিভাবকদের। —নিজস্ব চিত্র।
অনুমোদন ছাড়াই দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়া ভর্তির অভিযোগ উঠেছিল রাজারহাটের একটি বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার সাংসদ মুকুল রায় থেকে শুরু করে স্থানীয় বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের কাছেও সেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন অভিভাবকেরা। বুধবার তাঁরা সিআইডি-র কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। পাশাপাশি, এ দিন দুপুর থেকে অনেক রাত পর্যন্ত স্কুলে বিক্ষোভ এবং ঘেরাও কর্মসূচিও চালান তাঁরা।
অভিভাবকদের প্রতিনিধিরা এ দিন সকালে সিআইডি-র এক শীর্ষকর্তার কাছে ওই স্কুল সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে তাঁদের অভিযোগ তুলে ধরেন। তাঁদের অভিযোগ, ছাত্রছাত্রীদের প্রতারিত করা হয়েছে।
যদিও গতকালই ওই স্কুলের অধ্যক্ষা অপালা চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, নবম শ্রেণি পর্যন্ত তাঁদের সিবিএসই-এর অনুমোদন রয়েছে। তাঁরা কোনও তথ্য গোপন করেননি। এই দাবি খারিজ করে অভিভাবকদের একাংশ
জানান, ছাত্রছাত্রীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে ওই স্কুলে সন্তানদের ভর্তি করিয়েছেন তাঁরা। তখন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনীয় অনুমোদন আছে। পরে তাঁরা জানতে পারেন, সে কথা ঠিক নয়। অভিভাবকদের অভিযোগ, অধক্ষ্যার দাবি সম্পূর্ণ অসত্য। এর প্রমাণও রয়েছে তাঁদের কাছে।
সূত্রের খবর, সেই তথ্যও এ দিন পুলিশকে জানিয়েছেন অভিভাবকেরা। এ দিন দুপুর থেকে রাজারহাটে ওই বেসরকারি স্কুলের সামনে জড়ো হন ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকেরা। স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বচসাও হয় অভিভাবকদের। রাত পর্যন্ত তাঁরা স্কুলেই ছিলেন। রাতে ঘটনাস্থলে যায় বিধাননগর পুলিশ। তাঁদেরও বিস্তারিত ভাবে অভিযোগ জানান অভিভাবকেরা।
তাঁদের অভিযোগ, এ দিন আচমকা জানা যায় আগামী ১৫ দিনের জন্য স্কুল ছুটি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কী কারণে, তা জানা যায়নি। এ বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষাকে ফোন করা হলে, কোনও উত্তর মেলেনি।