ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

প্রতিদিনের মতো রবিবারও দাদার সঙ্গে ক্যারাটে ক্লাসে যাওয়ার কথা ছিল বছর ষোলোর আর্যস চট্টোপাধ্যায়ের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:১৮
Share:

প্রতিদিনের মতো রবিবারও দাদার সঙ্গে ক্যারাটে ক্লাসে যাওয়ার কথা ছিল বছর ষোলোর আর্যস চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু যায়নি সে। দাদা অনীশকে ওই কিশোর বলেছিল, পরে যাবে। কিন্তু আর্যস পরে আর ক্লাসে যায়নি। অনীশ সন্ধ্যার পরে বাড়ি ফিরে দেখে, সিলিং থেকে ঝুলছে ভাইয়ের দেহ।

Advertisement

ঘটনাটি ঘটেছে নেতাজিনগর থানা এলাকার রামগড়ে। আর্যস একটি স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে পড়ত। শান্ত স্বভাব এবং পড়াশোনায় মনোযোগী বলেই সকলে চিনতেন তাকে। আর্যসের মৃত্যুতে হতভম্ব পরিজন ও পড়শিরা। পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আর্যসের বাবা গোপাল চট্টোপাধ্যায় বর্ধমানে ব্যবসা করেন। মা একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। ঘটনার দিন, অর্থাৎ রবিবার আর্যসের মা ও বাবা বর্ধমানে ছিলেন। বাড়িতে ছিল আর্যস, অনীশ ও পোষা কুকুর।

Advertisement

ওই বাড়ির দোতলায় ভাড়া থাকেন দেবরাজ দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, ‘‘রাতে আর্যসের দাদা আমাদের ঘরে দৌড়ে এসে জানায়, ভাই অনেক ক্ষণ ধরে দরজা খুলছিল না। বাড়ির পিছন দিকের জানলা দিয়ে সে দেখেছে, আর্যস ফ্যানের সঙ্গে দোপাট্টা লাগিয়ে ঝুলছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যাই।’’ দেবরাজ জানান, অনীশের কাছেই তাঁরা জানতে পারেন, আর্যস সে দিন ক্যারাটে ক্লাসে যায়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, আর্যসের বাড়ির সামনের গ্রিলের দরজা ভিতর থেকে তালা দেওয়া ছিল। সেই তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে তাকে উদ্ধার করে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন। আর্যসের ঘরে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি।

আর্যস ক্যারাটেতে পারদর্শী ছিল বলে জানিয়েছেন পড়শিরা। দেবরাজ বলেন, ‘‘রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে ওদের শব্দ পাইনি। এমনকি, কুকুরটাও চিৎকার-চেঁচামেচি করেনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন