Death

Death: লটারির নেশায় দেনা কয়েক লক্ষ, দেহ উদ্ধার ব্যবসায়ীর

পুলিশ জানিয়েছে, বেহালায় বিশ্বজিতের একটি দশকর্মার দোকান রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরেই প্রবল আর্থিক সঙ্কটে ভুগছিলেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:০১
Share:

প্রতীকী ছবি।

বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পরে নিউ আলিপুর স্টেশনের কাছে রেললাইনের ধারে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল এক ব্যক্তিকে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বিশ্বজিৎ ঘোষ (৪২)। তাঁর বাড়ি বেহালায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বিশ্বজিৎ সোমবার গভীর রাতে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মৃতের পরিবারের তরফে পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, বেহালার সত্যেন রায় রোডের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোন। কিন্তু নিজের মোবাইল ফোন বাড়িতেই রেখে যান। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও তিনি বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন বেহালা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এর পরে গভীর রাতে বালিগঞ্জ জিআরপি-র তরফে বেহালা থানাকে জানানো হয়, নিউ আলিপুর স্টেশনের কাছে রেললাইনের ধারে এক ব্যক্তির ছিন্নভিন্ন দেহ পড়ে রয়েছে। ওই রাতেই বিশ্বজিতের পরিবারের সদস্যেরা গিয়ে দেহটি শনাক্ত করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, বেহালায় বিশ্বজিতের একটি দশকর্মার দোকান রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরেই প্রবল আর্থিক সঙ্কটে ভুগছিলেন তিনি। তদন্তে জানা গিয়েছে, বিশ্বজিতের লটারির টিকিট কেনার নেশা ছিল। যার জন্য অনেকের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন তিনি। সেই ঋণের মোট পরিমাণ কয়েক লক্ষ টাকা। ওই টাকা চাইতে পাওনাদারেরা প্রায়ই বিশ্বজিতের কাছে আসতেন। পুলিশের অনুমান, টাকা শোধ করতে না পেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন ওই ব্যবসায়ী।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, বৃদ্ধ বাবা ছাড়াও স্ত্রী ও দশ বছরের সন্তান রয়েছে বিশ্বজিতের। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘পরিবারের লোকেদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বাজারে মোটা টাকা ঋণ হয়ে গিয়েছিল ওই ব্যক্তির।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন