প্রতীকী ছবি।
নিজের বাড়ি থেকে এক প্রোমোটারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। পুলিশ জানিয়েছে, পর্ণশ্রী থানা এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির নাম ইন্দ্রজিৎ দাস ওরফে মামণি। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে, বেহালার পল্লিশ্রীতে। পরিবারের দাবি, এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কিছু রহস্য রয়েছে। যদিও তেমন কিছু সূত্র হাতে আসেনি বলেই পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই রাতে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে অচৈতন্য অবস্থায় এক ব্যক্তিকে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশকে ইন্দ্রজিতের স্ত্রী নিবেদিতা দাস জানিয়েছেন, রাত প্রায় সাড়ে আটটা নাগাদ তিনি দুই মেয়েকে নিয়ে বেহালা থানার মোড়ে কিছু জিনিস কিনতে গিয়েছিলেন। তার আগে স্বামীকে জলখাবার দিয়ে যান। ফিরে এসে তাঁরা ইন্দ্রজিৎকে ফ্ল্যাটের চারতলার সিঁড়িতে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। স্থানীয়েরাই ইন্দ্রজিৎকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
পরিজনদের থেকে পুলিশ জেনেছে, ২০১৬ সালে একটি দুর্ঘটনায় ইন্দ্রজিতের দু’টি পা গুরুতর জখম হয়েছিল। ডান হাঁটুর হাড় সরে গিয়েছিল, কলার বোনও ভেঙেছিল। তার পর থেকে ভালভাবে হাঁটতে পারতেন না তিনি। কম বেরোতেনও। এ রকম এক জন ব্যক্তি কী ভাবে একা তিনতলার ফ্ল্যাট থেকে চারতলায় ছাদের সিঁড়িতে ভারী চেয়ার নিয়ে উঠে আত্মহত্যা করতে পারেন? এই প্রশ্ন তুলেছেন স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যেরা। তাঁদের দাবি, তাঁদের অনুপস্থিতিতে কেউ এসে আধ ঘণ্টার মধ্যে এই কাজ করে গিয়েছে। যদিও প্রাথমিক তদন্তে খুনের কোনও প্রমাণ মেেলনি বলেই জানিয়েছে পুলিশ।