এই সাত দিনে বিক্রি কমেছে ৫০ শতাংশ। তবু বলব ভাল উদ্যোগ। দেশের কালো টাকা কমলে জিনিসের দাম তো কমবে!
ননীগোপাল সিট, মুদি-দোকানি, যাদবপুর
•৮ নভেম্বর- ১০,০০০ টাকা
•১৫ নভেম্বর- ৫০০০ টাকা
কামারকুণ্ডুর চাষির কাছ থেকে ১২ বছর ধরে মাল নিচ্ছি। ও ধারে মাল দিতে চাইছে না। অল্প যা কিনছি, তা-ও বিক্রি হচ্ছে না। নোট বাতিলের আগে আমাদের কথা ভাবা উচিত ছিল।
রাজু পাত্র, মানিকতলা বাজারের সব্জি ব্যবসায়ী
•৮ নভেম্বর- ২০০০ টাকা
•১৫ নভেম্বর- ৮০০ টাকা
সাময়িক খুবই অসুবিধা হচ্ছে। ব্যবসা বন্ধ প্রায়। জানি না ৫০ দিন পরে দেশ কতটা বদলাবে।
শৈলেন কাঁসারি, সব্জি বিক্রেতা, যাদবপুর সুপার মার্কেট
•৮ নভেম্বর- ২০০০ টাকা
•১৫ নভেম্বর – ৭০০ টাকা
প্রায় পুরোটাই বাকিতে চলছে এক সপ্তাহ ধরে। আর টানতে পারছি না। আমাদেরও তো কাঁচামাল কিনতে হয়। তবু আশা করছি, পর্যাপ্ত নতুন নোট এলে মাস দু’য়েকের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
হরেন্দ্রনাথ মল্লিক, মিষ্টির দোকান, পালবাজার
•৮ নভেম্বর- ১২,০০০ টাকা
•১৫ নভেম্বর-৬০০০ টাকা
সব ফল পচে যাচ্ছে। লোকে একেবারেই কিনছে না। কিনতে এলেও পাঁচশো-হাজারের নোট দেখে ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে অনেককেই। কেউ কেউ দু’হাজারের নোট আনছেন। ভাঙাতে পারছি না। খুব ক্ষতি হচ্ছে। কত দিন এমনটা চলবে, বুঝতে পারছি না।
মহম্মদ নাজির আনসারি, ফল বিক্রেতা, চাঁদনি চক
•৮ নভেম্বর- ৬০০০ টাকা
•১৫ নভেম্বর- ২৫০০ টাকা
দেশের জন্য হয়তো ভাল। তবে আমাদের মতো মানুষের বিশাল ক্ষতি। অনেকে আজও পাঁচশো টাকার নোট নিয়ে এসেছেন। ফিরিয়ে দিয়েছি। বিক্রি কমে যাচ্ছে। কিন্তু কী করব!
সহদেব খাটুয়া, ফুটপাথের চা-ওয়ালা, লালবাজার স্ট্রিট
•৮ নভেম্বর- ৫০০০ টাকা
•১৫ নভেম্বর- ৩০০০ টাকা
আগের বছরের এই সময়টায় দিনে ২০ হাজার টাকার গয়নাও বিক্রি করেছি। আজ দুপুর পর্যন্ত এক জনও ক্রেতা নেই। কেউ আসবেন কি না জানি না। বিয়ের মরসুমে মাথায় হাত।
রামকৃষ্ণ কর্মকার, ছোট গয়নার দোকান, সন্তোষপুর
•৮ নভেম্বর- ২০,০০০ টাকা
•১৫ নভেম্বর- নামমাত্র
আমাদের মতো খেটে খাওয়া লোকেদের খুব ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতি তো আমাদের হাতে নেই। দেশের ভাল হবে হয়তো, কিন্তু এত দিন ধরে এতটা ক্ষতি পোষানো মুশকিল।
রাজেন্দ্রপ্রসাদ গুপ্ত, ফুচকাওয়ালা, ঢাকুরিয়া
•৮ নভেম্বর- ১০০০ টাকা
•১৫ নভেম্বর- ৪০০ টাকা
দিনে যেখানে ১২টা জিন্স বিক্রি করতাম, এখন সেখানে কোনও রকমে একটা বিক্রি হচ্ছে। লোকের খাবার কেনার মতো নগদ হাতে নেই, জামা-কাপড় কী করে কিনবে?
নাদিম আলি, হকার, ধর্মতলার ফুটপাথ
•৮ নভেম্বর- ৪০০০ টাকা
•১৫ নভেম্বর- ১০০০ টাকা
অন্য বছর এ সময়টায় দোকানে পা রাখা যেত না। এখন এক জন ক্রেতার জন্য সারা দিন হা-পিত্যেশ করে বসে থাকতে হচ্ছে।
দীপক দে, মাঝারি মাপের সোনার দোকানি, বৌবাজার
•৮ নভেম্বরের পরে বিক্রি কমেছে ৭৫ শতাংশ
উদ্যোগটা ভাল। কিন্তু সব কিছু গুছিয়ে মাঠে নামেনি কেন্দ্রীয় সরকার। তাই ভুগতে হচ্ছে। ব্যবসার খুবই ক্ষতি হচ্ছে।
সুনীল চক্রবর্তী, পান সিগারেটের দোকান, সন্তোষপুর
•৮ নভেম্বর- ১৫০০ টাকা
•১৫ নভেম্বর- ৮০০ টাকা
প্যাসেঞ্জার বেশ কমেছে। তবে ৫০০-১০০০ ফেরাচ্ছি না। ভাঙিয়ে দিচ্ছে পেট্রোল পাম্প।
জগ্গু নস্কর, ট্যাক্সিচালক
•৮ নভেম্বর- ৪০০০ টাকা
•১৫ নভেম্বর- ২৫০০ টাকা
আমরা তো পরিশ্রম করে রোজগার করি। আমাদের তো আর কালো টাকা নেই। কিন্তু কেন এত ভুগতে হচ্ছে?
সোমা মহারাণা, রোলের দোকান, যাদবপুর
•৮ নভেম্বর-৩৫০০ টাকা
•১৫ নভেম্বর-১৫০০ টাকা
বুধবার থেকে কোনও নতুন খেলনা তুলিনি, বিক্রিও করিনি। এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমাদের কথা ভাবা হয়নি।
ইস্তেয়াক শেখ, নিউ মার্কেটের বাইরে ফুটপাথের খেলনা বিক্রেতা,
•৮ নভেম্বর- ১০০০ টাকা
•১৫ নভেম্বর- ২০০ টাকা