Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari: সেচমন্ত্রী থাকাকালীন কোনও ফাইলে সই করেননি, মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের উত্তরে বললেন শুভেন্দু

সেচমন্ত্রী থাকাকালীন কোনও ফাইলে সই করেননি তিনি। এমনটাই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২১ ২০:৪৪
Share:

শুভেন্দু অধিকারী নিজস্ব চিত্র

সেচমন্ত্রী থাকাকালীন কোনও ফাইলে সই করেননি তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের জবাবে এমনটাই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাজভবনে যান। এক ঘণ্টারও বেশি সময় রাজভবনে ছিলেন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়েই সাংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের পর বাংলার সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা প্লাবিত হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী সেচ দফতরের ভুমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। সঙ্গে ম্যানগ্রোভ লাগানোর ক্ষেত্রেও সেচ দফতরের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। রাজনীতির কারবারিদের ধারণা, নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বিগত মন্ত্রিসভার সেচমন্ত্রী শুভেন্দুর বিরুদ্ধেই ইঙ্গিত করেছিলেন। যিনি বর্তমানে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতাও বটে।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীর এমন অভিযোগের জবাবে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেছেন, ‘‘আমাকে ২০১৯ সালের জুন মাসে মন্ত্রী করেছিলেন। আর ২২ মার্চ ২০২০ সালে জনতা কার্ফু। ২৩ মার্চ থেকে লকডাউন। আমি বসার এক মাস পরেই অর্থ দফতর সার্কুলার দেয়। জানানো হয়ে, পরিকল্পনা বহির্ভূত খাতে মন্ত্রী ৫০ হাজার টাকা খরচ করতে পারবেন। পরিকল্পনা খাতে ১ কোটি টাকার বেশি খরচ করার অধিকার নেই। তাই কোনও ফাইলে শুভেন্দু অধিকারীর সই নেই। সই আছে নবীন প্রকাশের, সই আছে এইচকে দ্বিবেদীর, সই আছে অমিত মিত্রর।’’ তাঁর আরও সংযোজন, মুখ্যমন্ত্রী কাউকে কাজ করতে দেন না। আর আমার তো মাত্র কয়েক মাসের চাকরি ছিল।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে প্রথমে শুভেন্দুকে পরিবহণ মন্ত্রী করেছিলেন মমতা। ২০১৭ সালে পরিবেশ দফতরের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল তাঁর হাতেই। ২০১৯ সালের জুন মাসে সেচ দফতরও শুভেন্দুকেই দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় সেচ দফতরের অতিরিক্ত সচিব ছিলেন নবীন প্রকাশ, অর্থ দফতরের অতিরিক্ত সচিব এইচকে দ্বিবেদী ও অর্থমন্ত্রী ছিলেন অমিত মিত্র। যে কোনও ধরনের অর্থ খরচ বা বরাদ্দ করার ক্ষেত্রে তাঁর কোনও ভুমিকা ছিল না বলেই দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন