জলমগ্ন পাতিপুকুর আন্ডারপাস। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী।
সাপে কাটতে পারে, সেই ভয় নিয়ে শনিবার সকাল থেকে দুপুর আন্ডারপাস পেরোতে হল পথচারীদের। কারণ, সাঁতরাগাছি রেল স্টেশনের নিকটবর্তী ওই আন্ডারপাস শুক্রবার রাত থেকে প্রবল বৃষ্টির ফলে পুকুরের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। পুকুরের জল আর আন্ডারপাসের জল বইছে একই উচ্চতায়!
শহরের অন্য আন্ডারপাসে সাঁতরাগাছির মতো সাপের ভয় না থাকলেও জলছবিটা কমবেশি একই। জল জমায় সকালে দমদম স্টেশনের আন্ডারপাসে দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল বন্ধ ছিল। আন্ডারপাসের দু’পাশের ফুটপাথে পর্যন্ত জল উঠে যায়। রেলস্টেশন সংলগ্ন দমদম রোডের ৯০% জলের তলায় ছিল।
আবার পাতিপুকুর আন্ডারপাসের একটি অংশ রাতভর বৃষ্টির জেরে ডুবে গিয়েছিল। ফলে জলের তলায় থাকা ওই জায়গা দিয়ে যানবাহন চলাচল এ দিন সকাল থেকেই পুরোপুরি বন্ধ ছিল। নাগেরবাজারের দিক থেকে বেলগাছিয়া মেট্রো স্টেশনে যেতে হলে পাতিপুকুর আন্ডারপাস ধরেই যেতে হয়। কালিন্দীর দিক থেকে যে রাস্তাটি আন্ডারপাস ছুঁয়েছে সে দিকে সাড়ে তিন ফুট জল দাঁড়িয়ে যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায় ওই অংশেই। উল্টো দিকে, আন্ডারপাসের নীচ দিয়েই কোনও রকমে দু’দিকের গাড়ি চালানো হয়।
হাওড়া স্টেশনের ৯ নম্বর গেটের সাবওয়েতেও এ দিন জল জমে যায়। যে কারণে ট্রেন থেকে নেমে বাস ধরার আগে ওই জল পেরোতেই হয়েছে যাত্রীদের। কেএমডিএ-র এক কর্তা অবশ্য জানান, পাম্পের সাহায্যে দ্রুত জল বার করা হয়েছে।