বিকেলের প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত মহানগরী

ভরসন্ধ্যায় কলেজ স্ট্রিটে বাস থেকে নামতে গিয়ে কার্যত জলে হাবুডুবু খেয়ে গেলেন এক মাঝবয়সী ভদ্রলোক! সুকিয়া স্ট্রিটে দাঁড়িয়ে এক মহিলা হোয়্যাটসঅ্যাপে বন্ধুদের মেসেজ পাঠালেন, ‘প্রচণ্ড বৃষ্টি। জল জমতে শুরু করেছে। বেরোতে পারব কি না, জানি না।’ শিয়ালদহ স্টেশনের পাঁচটি লাইন জলের তলায়। সেখানে ট্রেনও দাঁড়াতে পারছে না! বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর ও মধ্য কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় এটাই জল-ছবি

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৫ ২০:০৫
Share:

জলমগ্ন সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।

ভরসন্ধ্যায় কলেজ স্ট্রিটে বাস থেকে নামতে গিয়ে কার্যত জলে হাবুডুবু খেয়ে গেলেন এক মাঝবয়সী ভদ্রলোক!
সুকিয়া স্ট্রিটে দাঁড়িয়ে এক মহিলা হোয়্যাটসঅ্যাপে বন্ধুদের মেসেজ পাঠালেন, ‘প্রচণ্ড বৃষ্টি। জল জমতে শুরু করেছে। বেরোতে পারব কি না, জানি না।’
শিয়ালদহ স্টেশনের পাঁচটি লাইন জলের তলায়। সেখানে ট্রেনও দাঁড়াতে পারছে না!
বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর ও মধ্য কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় এটাই জল-ছবি। সৌজন্য: বিকেল থেকে টানা বৃষ্টি। পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিন এক ঘণ্টায় শহরের কোনও কোনও জায়গায় ৯০-১০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। তার জেরেই এই অবস্থা। রাস্তায় জল জমে যানজটও হয়েছে। তবে শহরের দক্ষিণ ভাগ অবশ্য এ দিন অতিবৃষ্টি থেকে বঞ্চিতই থেকেছে।
হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, দক্ষিণবঙ্গের উপরে সক্রিয় রয়েছে নিম্নচাপ অক্ষরেখা। তার জেরে সাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকছে পরিমণ্ডলে। সেই জলীয় বাষ্পই ঘনীভূত হয়ে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি করেছে। তা থেকেই বৃষ্টি। বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে এ দিন ঘনঘন বাজও পড়েছে। আবহবিদদের একাংশ বলছেন, কলকাতা লাগোয়া গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপরে একটি বড় মাপের বজ্রগর্ভ মেঘপুঞ্জ তৈরি হয়েছিল। পরে তা উত্তর ও পূর্ব কলকাতার উপর দিয়ে বয়ে যায়। তার ফলেই ওই এলাকায় বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
কলকাতা পুরসভা জানায়, ঠনঠনিয়া পাম্পিং স্টেশনে এক ঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। মানিকতলা ও উল্টোডাঙা পাম্পিং স্টেশনে যথাক্রমে ৯০ ও ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। অল্প সময়ে এই বৃষ্টির ফলেই রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। থমকে যায় যান চলাচলও। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, উত্তর ও মধ্য কলকাতার চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, সুকিয়া স্ট্রিট, রামমোহন সরণিতে গাড়ি আটকে পড়ে। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, দক্ষিণ কলকাতা বাদ দিয়ে বাকি সব জায়গাতেই যানজট হয়েছিল।

Advertisement

ব্যাহত হয়েছে ট্রেন চলাচলও। রেল জানিয়েছে, শিয়ালদহ স্টেশনে পাঁচটি লাইন জলের তলায় চলে যাওয়ার ফলে ওই প্ল্যাটফর্মগুলিতে ট্রেন দাঁড়াতে পারেনি। ফলে সময়মতো ট্রেন ছাড়তে সমস্যা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement