ফাইল চিত্র।
আমরি-কাণ্ডে তাঁদের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন অভিযুক্ত রাধেশ্যাম অগ্রবাল ও শ্রবণকুমার টোডি। আলিপুর জেলা আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টে আপিল মামলা দায়ের করেছেন ওই দুই অভিযুক্ত। বুধবার হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি দেবীপ্রসাদ দে-র এজলাসে। সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায় জানান, মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হওয়ার আগে নিম্ন আদালতের বিচারপ্রক্রিয়ার উপরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা। বিচারপতি সেই আবেদন খারিজ করে মামলার পরবর্তী শুনানি ১৬ জানুয়ারি ধার্য করেছেন।
পুলিশ জানায়, ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালে আগুন লেগে ৯২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অগ্নি-নির্বাপণের ব্যবস্থা না থাকা, অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানো ইত্যাদি অভিযোগ এনে মামলা দায়ের হয়।
লালবাজার জানায়, আমরি-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত, প্রবীণ চিকিৎসক মণি ছেত্রী তাঁর বিরুদ্ধে ধারা বদলের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। গত বছর হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর আদালতে সেই মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি বাগচী জানিয়ে দেন, ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ না এনে গাফিলতির কারণে মৃত্যুর অভিযোগ আনা হবে। কারণ, তিনি হাসপাতাল পরিচালনার দৈনন্দিন কাজে যুক্ত ছিলেন না। তবে বিচার চলাকালীন নিম্ন আদালতের বিচারক তথ্যপ্রমাণ যাচাই করে প্রয়োজনে ধারা বদল করতে পারবেন। লালবাজার আরও জানায়, বিচারপতি বাগচীর নির্দেশকে হাতিয়ার করে নিম্ন আদালতে আবেদন জানান রাধেশ্যাম এবং শ্রবণ।
এ দিন বিচারপতি দে-র আদালতে সরকারি কৌঁসুলি জানান, হাইকোর্টের নির্দেশে নিম্ন আদালত বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে চলেছে। সেই মতো নিম্ন আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব চলছে। এই পরিস্থিতিতে কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিলে বিচারপ্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। আদালত আপিল মামলার শুনানির জন্য প্রয়োজনে কেস ডায়েরি তলব করতে পারে।
অভিযুক্তদের পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায় এ দিন আদালতে দাবি করেন, তাঁরা রাজ্য সরকারকে ইতিমধ্যেই মামলার যাবতীয় নথি পেশ করেছেন।