Sukanta Bhattacharya

বিজ্ঞাপনে মুখ ঢাকছে সুকান্তের, প্রতিবাদে স্থানীয়েরা

পুরসভার ১০২ নম্বর ওয়ার্ডে ১৯৯২ সালে তৈরি হয়েছিল সুকান্ত সেতু। তারই মুখে একটি আইল্যান্ডে বসানো হয়েছিল কবি সুকান্তের মূর্তি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:৪৯
Share:

আড়াল: আইল্যান্ড ঘিরে এ ভাবেই চলে বিজ্ঞাপন ও প্রচার। নিজস্ব চিত্র

বিজ্ঞাপনে মুখ ঢেকেছে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের। এমনটা হতে পারে না। আর তাই সুকান্ত সেতুর মুখ থেকে সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার যাবতীয় প্রচার এবং বিজ্ঞাপন সরানোর জন্যে অনেক দিন আগেই কলকাতা পুরসভায় আবেদন করেছিলেন স্থানীয় নাগরিক কমিটির সদস্যেরা। কাজ বিশেষ কিছু হয়নি বলেই অভিযোগ তাঁদের। ইতিমধ্যে তাঁরা বিষয়টি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও দিয়েছেন।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েক বছর আগে থেকেই রাজা সুবোধ মল্লিক রোডের উপরের এই আইল্যান্ডের চারদিকে বিভিন্ন সংস্থা বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করে। এমনকি রাজনৈতিক দলগুলিও সেখানে পতাকা লাগানোর প্রতিযোগিতায় নামে।

এখন মূল রাস্তায় দাঁড়ালে আর সুকান্তের মূর্তি নজরে পড়ে না। এর পরেই জোট বেঁধে বিরোধিতায় নামেন স্থানীয়েরা। ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর রিঙ্কু নস্কর বলেন, ‘‘কবি সুকান্তের মূর্তি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আবেগ রয়েছে। মূর্তির চারদিকে থেকে তাই পুরসভাকে বিজ্ঞাপন সরাতে অনুরোধ করা হয়েছিল। কাজ না হওয়ায় আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’

Advertisement

নাগরিক কমিটির তরফে অভিযোগ, যে সংস্থার উপরে এখানে বিজ্ঞাপনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তারা সে কাজের জন্যে আইল্যান্ডেই একটি বৈদ্যুতিক বোর্ড বসিয়েছিল। ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের নাগরিক কমিটির সম্পাদক প্রদীপকুমার লাহিড়ী বলেন, ‘‘ওই বৈদ্যুতিক বোর্ডের বিরোধিতা করে পুর কর্তৃপক্ষকে তা সরাতে আবেদন করেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি।’’ এর পরেই পুরসভার বিজ্ঞাপন দফতর সেখানে বৈদ্যুতিক বোর্ড বন্ধ করে দেন। তবে স্ট্যান্ডটি এখনও রয়ে গিয়েছে। ফের আইল্যান্ডের চারদিকে বিজ্ঞাপন দেওয়া শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন তিনি।

মেয়র পারিষদ (বিজ্ঞাপন) দেবাশিস কুমার বলেন, ‘‘স্থানীয়েরা অভিযোগ করেছিলেন। বিজ্ঞাপন দেওয়া বন্ধও হয়েছিল। আবার সমস্যা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন