Dum Dum

দোলের দুপুরে দু’জায়গায় ডুবে মৃত্যু দু’জনের

মৃতের বাবা দিলীপ সিংহ মঙ্গলবার বলেন, ‘‘ছেলে ভাল সাঁতার জানত। কী ভাবে তলিয়ে গেল, বুঝতে পারছি না।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২০ ০৩:১৮
Share:

প্রতীকী ছবি

দোলের দিন স্নান করতে নেমে দু’টি পৃথক ঘটনায় মৃত্যু হল এক কিশোর এবং এক যুবকের।

Advertisement

প্রথম ঘটনাটি ঘটে দমদমের মতিলাল কলোনিতে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম দেবজিৎ সমাদ্দার। সে স্থানীয় ইন্দিরা গাঁধী মেমোরিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির পড়ুয়া ছিল। সোমবার সকাল থেকে বন্ধুদের সঙ্গে দোল খেলছিল সে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর দেড়টা নাগাদ চার বন্ধুর সঙ্গে পাড়ার একটি বড় পুকুরে স্নান করতে নামে দেবজিৎ। সে সাঁতার জানত না। তবুও অন্যদের হাত ধরে গভীর জলে চলে যায়। তার পরেই দেবজিৎ এবং আর এক কিশোর তলিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, পুকুরে তখন যাঁরা স্নান করছিলেন তাঁরা অন্য জনকে তুলে আনেন, কিন্তু দেবজিতের খোঁজ মেলেনি।

দমদম থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ দমকলকে ডাকে। দেবজিতের খোঁজে ডুবুরি নামানো হয়। স্থানীয়েরাও খোঁজাখুজি শুরু করেন। তারই মধ্যে স্থানীয় এক জেলে দেবজিৎকে তুলে আনেন। তখন তার দেহে সাড় ছিল না। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, দেবজিতের দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।

Advertisement

অন্য দিকে, সোমবার দুপুরেই হরিদেবপুরের নবপল্লির মনোরমা পার্ক এলাকায় ডুবে মৃত্যু হয় এক যুবকের। মৃতের নাম সঞ্জয় সিংহ (৩২)।

পুলিশ সূত্রের খবর, একটি বহুজাতিক ওষুধ সংস্থায় কাজ করতেন সঞ্জয়। সোমবার সকাল থেকে তাঁর বাড়িতে চলছিল দোল খেলা। দুপুরের পরে পাশে এক বন্ধুর বাড়িতে যান সঞ্জয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর হবু স্ত্রী-ও। ওই বাড়ির দোতলায় চলছিল আড্ডা। দুপুর তিনটে নাগাদ কয়েক জন বন্ধুকে ছাড়তে যাচ্ছেন জানিয়ে একতলায় নেমেছিলেন সঞ্জয়। ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, এর আধ ঘণ্টা পরে তিনি চেঁচামেচি শুনতে পান। নীচে নেমে শোনেন, সঞ্জয় পুকুরে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গিয়েছেন। পরে কয়েক জন বন্ধু সঞ্জয়কে জল থেকে তুলে আনেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, জল থেকে তোলার পরে অচৈতন্য ছিলেন সঞ্জয়। প্রথমে তাঁকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। পরে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা সঞ্জয়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর দেহ ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছ।

মৃতের বাবা দিলীপ সিংহ মঙ্গলবার বলেন, ‘‘ছেলে ভাল সাঁতার জানত। কী ভাবে তলিয়ে গেল, বুঝতে পারছি না।’’ ওই তরুণী এ দিন বলেন, ‘‘কয়েক মাস পরেই আমাদের বিয়ের কথা ছিল। সোমবার নীচে নামার আগে আমার হাতে ফোনটা দিয়ে গিয়েছিল সঞ্জয়। অনেকে ফোন করে ওর সম্পর্কে নানা কথা জিজ্ঞাসা করছেন। আমিই সকলকে উত্তর দিচ্ছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন