এক তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। বৃহস্পতিবার রাতে সল্টলেকের বি সি ব্লকের একটি চারতলা আবাসনের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ জানায়, দিওতিমা দাস (২২) নামে ওই তরুণীর বাড়ি পাশেই বি ডি ব্লকে। তিনি সাংবাদিকতার ছাত্রী ছিলেন। কেন তিনি ওই আবাসনে গিয়েছিলেন, কী ভাবেই বা সকলের নজর এড়িয়ে সোজা ছাদে উঠে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্নের মুখে সল্টলেকের আবাসনগুলির বাসিন্দাদের সুরক্ষাও।
পুলিশ জেনেছে, ওই তরুণী কিছু দিন ধরে অবসাদে ভুগছিলেন। তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোন তিনি। তার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই
ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যা। তবে আবাসনের ভিতরে কারও কেন ওই তরুণীর গতিবিধি নজরে এল না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সেখানে তিনি কোনও পরিচিতের বাড়িতে যেতেন কি না, তা-ও
দেখা হচ্ছে।
শুক্রবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বি সি ব্লকের ওই আবাসনের সদর দরজা খোলা। বসে এক জন নিরাপত্তারক্ষী। স্থানীয় সূত্রে খবর, রক্ষীদের ডিউটি বদলের সময়ে বেশ কিছুক্ষণ কার্যত অরক্ষিতই থাকে আবাসনটি। এমনকী আবাসনে কে কখন ঢুকছে, তা নথিবদ্ধ করার ব্যবস্থাও নেই। পুলিশের অনুমান, ডিউটি বদলের ফাঁকেই ওই ঘটনা ঘটে।
ওই আবাসন কমিটির এক কর্মকর্তা অলোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘নজরদারি বাড়াতে সিসিটিভি বসানোর কথা ভাবা হচ্ছে।’’ বিধাননগরের এক পুলিশকর্তা জানান, সচেতনতা বাড়াতে একাধিক বার বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পুলিশের আবেদন মেনে অনেকে কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু একাংশের এখনও হুঁশ ফিরছে না।
সল্টলেকের বাসিন্দাদের একটি সংগঠনের কর্তা কুমারশঙ্কর সাধু বলেন, ‘‘এমন ঘটনা আটকাতে বাসিন্দাদের পারস্পরিক যোগাযোগ বাড়াতে হবে।’’