নির্মীয়মাণ বহুতলের পাঁচিল ভেঙে মৃত্যু হয়েছিল কহেকশা খাতুনের।
একটি মৃত্যুতেই বেরিয়ে এল আসল সত্য!
গত সোমবার বেলুড় ভোটবাগানের নির্মীয়মাণ বহুতলের পাঁচিল ভেঙে ষোলো বছরের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছিল। এর পরেই ঘিঞ্জি এলাকার মধ্যে কী ভাবে ওই বহুতল হচ্ছিল তার তদন্তে নামেন হাওড়া পুরসভার কর্তারা। বেরিয়ে আসে লুকনো সত্য। দেখা যায়, পুরো বহুতলটি বেআইনি ভাবে হচ্ছিল। তাই বুধবার সেটি ভাঙার নির্দেশ দিলেন হাওড়ার পুর কমিশনার ও প্রশাসক বিজিন কৃষ্ণ।
পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে শো-কজ করা হয়েছে। পুরসভা এবং মৃতের পরিজনেদের অভিযোগ পেয়ে বেলুড় থানার পুলিশ আফজল, মুকাদ্দর ও রাজু নামে তিন প্রোমোটারকে গ্রেফতার করে। এ দিন বিজিন কৃষ্ণ বলেন, ‘‘ওই বেআইনি নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।
একটা ঘটনা ঘটায় জানা গেল। বেআইনি নির্মাণ হলেও কেন তা ইঞ্জিনিয়ারের নজরে আসেনি, তার রিপোর্ট চেয়েছি।’’
হাও়ড়া পুরসভার ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঘিঞ্জি এলাকায় ওই বহুতল হলেও তাতে সদ্য প্রাক্তন হওয়া স্থানীয় কাউন্সিলর তফজিল আহমেদের কোনও নজরদারি ছিল না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। পুরকর্তারা জানান, দেখা গিয়েছে পাঁচতলা বাড়িটাই বেআইনি। কারণ, শামিম খান রোডের ওই জায়গায় দোতলা বাড়ির অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। সেটিরই অনুমোদন হয়নি এখনও। সেখানে গজিয়েছে বহুতল।
ওই এলাকায় এমন কয়েকটি বহুতলের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়েরা।