মৃত শিশুর জ্বর হয়েছিল কাটোয়ায়, দাবি পুরসভার

পঞ্চমীর রাতে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বেলগাছিয়ার এফ রোডের কুঞ্জপাড়ার বাসিন্দা আট বছরের শিশু মৌ মণ্ডলের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৯ ০১:০৪
Share:

প্রতীকী ছবি

হাওড়ার বেলগাছিয়ায় ডেঙ্গিতে শিশু-মৃত্যুর ঘটনার পরে এ বার নড়েচড়ে বসেছে হাওড়া পুরসভা। শুক্রবার থেকেই ওই এলাকায় শুরু হয়েছে ডেঙ্গির মশার লার্ভা মারার কাজ। পাশাপাশি অবশ্য পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, মৌ মণ্ডল নামে তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীর প্রথম জ্বর হয় বর্ধমানে, তাদের আদি বাড়িতে। সেখান থেকেই জ্বর নিয়ে সে গত মাসের শেষ দিকে বেলগাছিয়ায় ফিরে আসে। হাওড়ায় এসে ওই শিশুটির ডেঙ্গি হয়েছে, এ কথা ঠিক নয়।

Advertisement

পঞ্চমীর রাতে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বেলগাছিয়ার এফ রোডের কুঞ্জপাড়ার বাসিন্দা আট বছরের শিশু মৌ মণ্ডলের। এমনিতে হাওড়া পুরসভার অধিকাংশ ওয়ার্ডে ডেঙ্গি ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ বেড়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর এবং পুরসভার। ইতিমধ্যে সরকারি ভাবে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭০০ পেরিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে ঠিক পুজো শুরুর আগেই ডেঙ্গিতে ওই শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। শনিবারই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে খোঁজখবর নেওয়া হয়। কথা বলা হয় জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে। বেলগাছিয়ার কুঞ্জপাড়ায় যেখানে ওই শিশুটির বাড়ি, সেই এলাকায় পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের ভেক্টর কন্ট্রোল টিম লার্ভা মারার বিষ ও মশা তাড়ানোর ধোঁয়া দেওয়া শুরু করেছে।

এ সবের মধ্যেই এ দিন হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে ওই শিশুটি দিন দশেক আগেও বর্ধমানের কাটোয়ায় ছিল। তখনই তার জ্বর হয়। ওই অবস্থায় সে হাওড়ায় ফিরে আসে। বাড়ি ফেরার পরে স্থানীয় এক চিকিৎসকের অধীনে তার চিকিৎসাও হয়। তিনি তখনই মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেন। কিন্তু তার পরেও তাকে ভর্তি করা হয়নি।

Advertisement

পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের এক অধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা প্রাথমিক ভাবে খোঁজ নিয়ে জেনেছি ওই শিশুটি জ্বর নিয়ে বর্ধমান থেকে ফিরেছিল। তাই বর্ধমানেই ডেঙ্গি হয়েছিল কি না তা দেখতে হবে। কারণ যে এলাকায় ওই পরিবারটি বাস করে, তার আশপাশে কোনও ডেঙ্গি রোগী পাওয়া যায়নি।’’

হাওড়া পুরসভার কমিশনার বিজিন কৃষ্ণ বলেন, ‘‘ওই এলাকায় নিয়মিত নজরদারি চালানো হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের কাজ করা হচ্ছে। তবে ওই এলাকায় আর কোনও ডেঙ্গি রোগী মেলেনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন