আনাজের চড়া দাম, দুই বাজারে হানা টাস্ক ফোর্সের

এ দিন সকালে প্রথমে সিএ এবং পরে সিকে মার্কেটে অভিযান চালান টাস্ক ফোর্সের সদস্যেরা। দেখা যায়, ২০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৩৫
Share:

পরিদর্শন: অতিরিক্ত দামের অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার সল্টলেকের সিকে মার্কেটে টাস্ক ফোর্সের সদস্যেরা। নিজস্ব চিত্র

ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে শীতকালীন আনাজপত্র। আলুর দাম তো বেশিই, সঙ্গে আগুন দামে বিকোচ্ছে পেঁয়াজ। এমনই অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার সকালে বিধাননগরের দু’টি বাজারে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে হানা দিলেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যেরা। বাজার ঘুরে তাঁরা ব্যবসায়ীদের বোঝান। কয়েক জনকে সতর্কও করা হয়। যদিও ক্রেতারা এই অভিযোগও করেছেন, অভিযান মিটে গেলেই কিছু দিন পর থেকে দাম আবার বেড়ে যাবে। এ ব্যাপারে টাস্ক ফোর্সের তরফে রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, ‘‘বিধাননগরে আলুর দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ এসেছিল। বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ীদের বোঝানো হয়েছে এ দিন। নজরদারি নিয়মিত চলবে। দাম ক্রমশ নিয়ন্ত্রণে আসছে।’’

Advertisement

এ দিন সকালে প্রথমে সিএ এবং পরে সিকে মার্কেটে অভিযান চালান টাস্ক ফোর্সের সদস্যেরা। দেখা যায়, ২০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করা হচ্ছে। টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের কথায়, কলকাতা ও শহরতলির বাজারে আলুর দাম কেজি প্রতি ১৮ টাকা। সে ক্ষেত্রে বিধাননগরে কেন বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে, এই প্রশ্নের জবাবে ব্যবসায়ীরা জানান, তাঁরা পাইকারি বাজার থেকে বেশি দাম দিয়ে আলু কিনে আনছেন। ফলে কেজি প্রতি ১৮ টাকায় বিক্রি করলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে তাঁদের। তখন টাস্ক ফোর্সের সদস্যেরা পাইকারি বাজারে খবর নেন। দেখা যায়, সেখানেই বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে। রবীন্দ্রনাথবাবু জানান, বেগুন, শিম, মুলো, টম্যাটো, কপি, গাজরের দাম গুণমান অনুযায়ী মোটের উপরে নিয়ন্ত্রণে আছে। তাঁর দাবি, পাইকারি বাজারে চড়া দামের প্রভাব পড়েছিল খোলা বাজারে। তবে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি, আনাজের দাম বৃদ্ধির পিছনে ফড়েদের একাংশও জড়িত বলে মেনে নিয়েছেন রবীন্দ্রনাথবাবু। তাঁর বক্তব্য, ফড়েদের দৌরাত্ম্য কমাতে বাজারের ব্যবসায়ী সমিতিগুলির আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে সল্টলেকের কেন্দ্রীয় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির এক কর্তা শ্যামলকান্তি রায় পাল্টা দাবি করেন, ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে ফড়েদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। বরং সরকারকেই এ বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন