এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার হলেন তাঁর স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার লিলুয়ার বেলগাছিয়ায়। সোমবার গভীর রাতে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় রূপালী কর্মকার (২৫) নামে ওই গৃহবধূকে হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ দিন ভোরে সেখানেই অগ্নিদগ্ধ বধূর মৃত্যু হয়েছে। ধৃতের নাম সমীর কর্মকার।
পুলিশ সূত্রের খবর, বেলগাছিয়া কুঞ্জপাড়ার বাসিন্দা সমীরের সঙ্গে বারো বছর আগে বিয়ে হয়েছিল বাটানগরের বাসিন্দা রূপালীর। সমীর গেঞ্জি তৈরির কাজ করেন। কর্মকার দম্পতির সাত বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। রূপালীর বাপের বাড়ির পরিজনেদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে দীর্ঘ বছর তেমন কোনও অশান্তি ছিল না ওই দম্পতির মধ্যে। তবে শেষ কয়েক মাস ধরে দু’জনের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। রূপালীর অভিযোগ ছিল, অন্য এক মহিলার সঙ্গে তাঁর স্বামীর প্রণয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। তা নিয়ে প্রতিবাদ করলেই মারধর করতেন সমীর। ওই বধূর বাপের বাড়ির তরফে এক আত্মীয়া জয়া দাস বলেন, ‘‘ভোরে জামাই ফোন করে জানান যে রূপালী গায়ে আগুন দিয়েছে। তাই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। খবর পেয়েই আমরা তড়িঘড়ি পৌঁছই। কিন্তু পৌঁছে দেখি, তত ক্ষণে মেয়েটা মরে গিয়েছে।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার রূপালীকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে যখন ভর্তি করা হয়, তত ক্ষণে তাঁর হাত, মুখ-সহ শরীরের অনেকটা পুড়ে গিয়েছিল। এ দিন সকাল পৌনে সাতটা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। এর পরেই সমীর-সহ তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে রূপালীর পরিবার। অভিযোগ পেয়ে লিলুয়া থানার পুলিশ সমীরকে গ্রেফতার করে। তবে ওই বধূ আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।