—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বেলেঘাটার শ্বেতা প্রসাদ সাউয়ের মৃত্যু ঘিরে রহস্য ঘনাচ্ছে। মৃতার স্বামী রোহিত সাউ প্রথমে দাবি করেছিলেন, তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন! তবে মৃতার বাবা ওমপ্রকাশ প্রসাদের অভিযোগ ভিন্ন। তাঁর দাবি, বিয়ের পর থেকে পণের জন্য এবং অন্য নানা কারণে শ্বেতার উপর চাপ দেওয়া হত। যৌতুক না দিলে তাঁর কন্যাকে মারধর করা হত বলেও অভিযোগ করেন মৃতার বাবা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতার স্বামী রোহিতকে গ্রেফতার করেছে নারকেলডাঙা থানার পুলিশ।
বুধবার দুপুরে বেলেঘাটায় নিজের বাড়িতে শ্বেতাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের লোকেরা। ওই অবস্থা থেকে তাঁকে উদ্ধার করে নীলরতন সরকার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বধূকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এর পর নীলরতন সরকার হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ি থেকে নারকেলডাঙা থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে।
শুক্রবার নারকেলডাঙা থানায় রোহিত এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে শ্বেতাকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন ওমপ্রকাশ। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে তাঁর কন্যাকে নানা ভাবে হেনস্থা করতেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। প্রায়ই টাকা এবং পণের দাবি করতেন তাঁরা। দিতে না-পারলে রড, বেল্ট দিয়ে মারধর করা হত বলেও অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, এফআইআরে নাম থাকা রোহিতকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত খুনের কথা ধৃত স্বীকার করেছেন কি না, তা জানা যায়নি।
পরিবারের লোকেদের থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, ২০১৫ সালে শ্বেতা আর রোহিতের বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের দুই মেয়েও রয়েছে। কিন্তু গত দু’বছর ধরে তাঁদের মধ্যে দাম্পত্যকলহ চলছিল। রোহিত প্রথমে পুলিশের কাছে দাবি করেন, মেঘালয়ে ঘুরতে যাওয়া নিয়ে তাঁর সঙ্গে শ্বেতার ঝামেলা হয়েছিল। তার পরেই ঘরের মধ্যে নিজেকে বন্দি করে নেন শ্বেতা। অনেক ক্ষণ সাড়াশব্দ না-পাওয়ায় দরজা ভেঙে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। যদিও মৃতার বাবা প্রথম থেকেই খুনের অভিযোগ তোলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, মেয়ের পুত্রসন্তান না হওয়ার জন্য তাঁকে ‘নির্যাতন’ করা হত।