দশম শ্রেণির পরীক্ষার নম্বর বাড়াতে আইসিএসই বোর্ডের ওয়েবসাইটে আবেদন করেছিল কলকাতার একটি স্কুলের ছাত্র। অভিযোগ, সেই ওয়েবসাইট থেকেই হ্যাকারদের খপ্পরে পড়ে সে। এমনকি রেহাই পাননি তার বাবাও। বিষয়টি নিয়ে ব্যারাকপুর পুলিশের সাইবার শাখায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই পড়ুয়ার বাবা বিশ্বজিৎ বর্ধন। কিন্তু এই ঘটনার পিছনে ঠিক কারা রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। তবে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
পুলিশ সূত্রের খবর, রুদ্রাশিস বর্ধন মেধাবী ছাত্র। অঙ্ক অলিম্পিয়াডে যোগ দেওয়ার যোগ্যতাও অর্জন করেছে সে। বর্তমানে কলকাতারই একটি স্কুলে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া রুদ্রাশিস।
পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে বিশ্বজিৎবাবুর অভিযোগ, দশম শ্রেণির ফলে সন্তুষ্ট না হওয়ায় তাঁর ছেলে রুদ্রাশিস কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে ঢুকে পুনর্মূল্যায়নের আর্জি জানায় এবং তার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা জমা দেয়। এর পরে একটি নির্দিষ্ট ই-মেল আইডি থেকে রুদ্রাশিসকে মেল পাঠিয়ে জানানো হয় যে, তার নম্বর বেড়েছে। ওই ছাত্রের কাছে এমন একাধিক ই-মেল আসে। কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই স্পষ্ট ভাবে কিছু জানানো হচ্ছিল না। ওই ছাত্র কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে থাকা মোবাইল নম্বরে এসএমএস করেও নম্বর বাড়ার কথা জানতে পেরেছিল বলে তাঁর বাবার দাবি।
আরও পড়ুন: গাছের কোটরে উদ্ধার মৃতদেহ
পুলিশ সূত্রের খবর, পরবর্তী কালে অন্য একটি আইডি থেকে পাঠানো একটি ই-মেল দেখে সন্দেহ হওয়ায় কাউন্সিলে যোগাযোগ করে বিশ্বজিৎবাবু জানতে পারেন, তারা কোনও ই-মেল পাঠায়নি। এর পরে পুলিশের দ্বারস্থ হন বিশ্বজিৎবাবু। তাঁর অভিযোগ, তিনি পুলিশে যাওয়ার পরে তাঁর ই-মেল হ্যাক করে ছেলের কাছে হুমকিও পাঠানো হয়।
সাইবার বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, এর পিছনে হ্যাকারেরা রয়েছে। আইসিএসই-র ওয়েবসাইটে তথ্য দেওয়ার পরেও কী ভাবে হ্যাকারেরা তা পেল, সেটা নিয়ে বিস্তারিত তদন্তের প্রয়োজন।’’ ওই ছাত্রটির কোনও পরিচিত লোক এর পিছনে রয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিভাসবাবু।