Illegal Call Center

অবৈধ কল সেন্টার নিয়ে অভিযোগ করায় ‘হুমকি’, ভাঙচুর অফিসে

অভিযোগকারী জানান, বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার এক দুষ্কৃতী ও তার সঙ্গীদের মদতেই ওই বেআইনি কল সেন্টার চালাত অভিযুক্তেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৫ ০৯:৫৮
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে রয়েছে অফিস। আর সেই অফিসেরই দোতলায় চলছে বেআইনি কল সেন্টার। যার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করায় এক ব্যবসায়ীকে হুমকি দেওয়ার ও অফিসে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল কল সেন্টারের মালিক ও সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। আতঙ্কে তিন দিন নিজের অফিসেই যেতে পারেননি ওই ব্যবসায়ী। ঘটনাটি ঘটেছে এন্টালি থানা সংলগ্ন লালমোহন ভট্টাচার্য রোডে। এন্টালি থানার দ্বারস্থ হয়েছেন ওই আতঙ্কিত ব্যবসায়ী।

কসাইপাড়া লেনের বাসিন্দা, অভিযোগকারী ওই ব্যবসায়ীর চামড়ার পাশাপাশি শেয়ারের ব্যবসা রয়েছে। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, লালমোহন ভট্টাচার্য রোডে একটি দোতলা ভবনের একতলায় রয়েছে তাঁর অফিস। সেখানে কয়েক জন কর্মীকে নিয়ে নিয়মিত বসেন তিনি। ব্যবসায়ী জানান, গত কয়েক মাস ধরে ওই ভবনের দোতলায় জনাকয়েক কমবয়সিকে রাতের দিকে যাতায়াত করতে দেখতেন তিনি। দিনে কেউ না এলেও রাত ১০টার পর থেকে ভোর পর্যন্ত সেখানে ল্যাপটপ এবং বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে ঢুকতেন সেই যুবকেরা। সন্দেহ হওয়ায় এ নিয়ে খোঁজখবর শুরু করলে তিনি জানতে পারেন, সেখানে চলছে একটি বেআইনি কল সেন্টার।

অভিযোগকারী জানান, বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার এক দুষ্কৃতী ও তার সঙ্গীদের মদতেই ওই বেআইনি কল সেন্টার চালাত অভিযুক্তেরা। মাস দুয়েক আগে এ নিয়ে প্রতিবাদ করে ওই ব্যবসায়ী পুলিশে খবর দেন। খবর গিয়েছিল লালবাজারেও। সেই রাগে কয়েক দিন পরে কল সেন্টারের মালিক ও তার সঙ্গীরা এসে ব্যবসায়ীকে মারধর করে ও হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় এন্টালি থানায় অভিযোগ দায়ের হলে কয়েক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও অভিযোগ, তার পরেও বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। সম্প্রতি অভিযুক্তদের কয়েক জন জামিনে ছাড়া পায়। এর পরেই হুমকির মাত্রা বাড়তে থাকে। পাশাপাশি, ওই ব্যবসায়ীর অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে ফের পুলিশে অভিযোগ করেছেন তিনি।

এন্টালি থানায় নিজের অভিযোগে ওই ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযুক্তদের কয়েক জন তালা ভেঙে তাঁর অফিসে ঢোকে এবং লোহার রড দিয়ে ভাঙচুর চালায়। অফিসে থাকা নগদ টাকা এবং ব্যবসার সামগ্রী লুট করে, আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। ওই ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘ঘটনার সময়ে অফিসে ছিলাম না। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে অভিযুক্তেরা ভিতরে ঢুকেছিল। হুমকি দিয়ে গিয়েছে। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে আছি।’’ ভয়ে গত তিন দিন অফিস খুলতেই পারেননি ওই ব্যবসায়ী। তাঁর কথায়, ‘‘কী করে অফিস খুলব? যে দুষ্কৃতী এ সব করাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে আগেরও নানা অভিযোগ রয়েছে। সব সময়ে সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র রাখে। আমার প্রাণের ভয় তো আছে!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন