নজরদারি, টহল সত্ত্বেও শহরে বাড়ছে ছিনতাই

পুলিশি নজরদারি, সিসিটিভি ফুটেজ, নিয়মিত টহল— বাদ নেই কিছুই। তার পরেও মহানগরের বুকে প্রতিদিন ঘটে চলেছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঘটনাগুলি ঘটছে মহিলাদের সঙ্গে। সাম্প্রতিক কয়েক দিনের তথ্য অন্তত তা-ই বলছে।

Advertisement

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়, তিয়াষ মুখোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৩২
Share:

পুলিশি নজরদারি, সিসিটিভি ফুটেজ, নিয়মিত টহল— বাদ নেই কিছুই। তার পরেও মহানগরের বুকে প্রতিদিন ঘটে চলেছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঘটনাগুলি ঘটছে মহিলাদের সঙ্গে। সাম্প্রতিক কয়েক দিনের তথ্য অন্তত তা-ই বলছে।

Advertisement

বুধবারই রোজের মতো প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন একবালপুরের বাসিন্দা জিনাত আরা। পুলিশের কাছে তিনি দাবি করেন, ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ন্যাশনাল লাইব্রেরির সামনে হঠাৎই পিছন থেকে এসে এক যুবক তাঁর গলার হার ছিনিয়ে নিয়ে পালায়। থানায় অভিযোগ করেন তিনি। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত যুবকের খোঁজ চলছে।

৩০ মার্চও রিজেন্ট পার্কে ৭৭ বছরের এক বৃদ্ধার হাতব্যাগ ও মোবাইল ছিনতাই হয়। মঙ্গলবার অজিত তিওয়ারি নামে বছর পঁচিশের অভিযুক্ত যুবককে ধরেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে নিউ আলিপুরের ও ২০১৫-এ হরিদেবপুরের ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশের খাতায় নাম ছিল তার। ৩১ তারিখ গোয়াবাগানে মোটরবাইকে এসে এক প্রৌঢ়ার হার নিয়ে চম্পট দেয় এক ছিনতাইকারী। এপ্রিলের ৮ তারিখও এমন ঘটনা ঘটে গরফায়। ধরাও পড়েছে ছিনতাইকারী। তাকে জেরা করে আরও ১৫টি ছিনতাইয়ের ঘটনায় দিশা পেয়েছে পুলিশ।

Advertisement

পর পর এমন ঘটনা প্রসঙ্গে এক পুলিশকর্তা জানালেন, মার্চ, এপ্রিল, অগস্ট, সেপ্টেম্বর— এই চার মাস শহরে ছিনতাইয়ের মরসুম চলে প্রতি বছরই। পাল্লা দিয়ে চলে পকেটমারিও। কারণ এই মাসগুলিতে সাধারণ মানুষ উৎসবের মেজাজে থাকেন। বেশির ভাগ মানুষই কেনাকাটা করেন, ফলে তাঁদের পকেটে টাকাও থাকে। তাই এই সময়টাকে লক্ষ করেই মাঠে নামে ছিনতাইকারীরা। এই ছিনতাইকারী দলগুলির দু’টি ধরন হয়ে বলে জানাচ্ছেন ওই পুলিশকর্তা। প্রথম দলটি বাজার, বাস, ভিড় দোকান— এ সব জায়গায় হাতসাফাই চালায়। আর দ্বিতীয় দলটি বিশেষ করে অপারেশন চালায় ভোরে হাঁটতে বেরোনো মানুষদের লক্ষ করে। তবে ওই পুলিশকর্তার মতে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পুরনো ছিনতাইকারী দলগুলির দাপটেই বাড়ছে দুষ্কর্ম। নতুন ছিনতাইকারীরা এই উৎসব মরসুমের ভিড়ে চট করে হাত পাকাতে নামে না।

লালবাজারের এক পুলিশকর্তা আবার মনে করিয়ে দিলেন, এক সময়ে ভোরের ফাঁকা রাস্তায় প্রচুর ছিনতাই হতো। সেগুলি রুখতে, রাতের মতোই ভোর বেলাতেও পুলিশি টহলদারির সিদ্ধান্ত হয়েছিল কিছু দিন আগে। ‘‘সেই অভ্যাসটাই আবার জোরদার ভাবে ফিরিয়ে আনার কথা ভাবছি আমরা। কারণ ইদানীং ফের খুব বেশি করে ছিনতাই হচ্ছে ভোরের ফাঁকা রাস্তায়।’’— বললেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement