মুক্ত: জামিন পেয়ে বেরিয়ে আসছেন সৃজন বসু। বুধবার বিধাননগর আদালতে। নিজস্ব চিত্র
সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দেওয়া, জুলুমবাজি এবং ভয় দেখানোর জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার তাঁকে বাড়ি থেকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। অথচ বিধাননগর আদালতে অনায়াসেই তাঁর জামিন হয়ে গেল।
তিনি কলকাতা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে নর্দার্ন অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা তথা ওই ওয়ার্ডে তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি সৃজন বসু।
পুলিশের অভিযোগ, সৃজনবাবু ১৮ জুলাই সল্টলেকের একটি শপিং মলের কাছে নিয়ম ভেঙে গাড়ি ইউ টার্ন করলে গাড়িটি আটকান সিভিক ভলান্টিয়ারেরা। তিনি গাড়ি থেকে নেমে পরের ঘটনাটি ভিডিও করে ফেসবুক লাইভে দেন। পরে সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। আরও অভিযোগ, পরের দিন তিনি ফের করুণাময়ীর কাছে গাড়ি থামিয়ে কর্তব্যরত পুলিশকে হেনস্থা করেন। সেই অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয়দের কথায়, যেখানে স্বরাষ্ট্র দফতরের মন্ত্রী খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখানে তাঁর দলেরই এক নেতা পুলিশের কর্মকাণ্ড নিয়ে ফেসবুকে ভিডিও শেয়ার করছেন। তাই পুলিশ ঠিক কাজ করেছে।
এ দিন আদালতে অভিযুক্তের আইনজীবী রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁর মক্কেল ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। পরের দিন তিনি গাড়ির কাচ নামিয়ে পুলিশকে সেই ভিডিও-র প্রসঙ্গ তুলে তোলা চান বলে অভিযোগ। তার জন্য পুলিশ দু’টি আলাদা কেস দিয়েছে। যা কার্যত ভিত্তিহীন। এমনকী পুলিশ ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন পর্যন্ত করেনি। তবে জামিন প্রসঙ্গে বিধাননগর পুলিশকর্তাদের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এক আধিকারিকের বক্তব্য, পুলিশ অভিযোগ অনুসারে মামলা রুজু করেছে। কেন জামিন হল তা নিয়ে খতিয়ে দেখা হবে।