—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বেহালা পর্ণশ্রী এলাকার ক্রেশে পোষ্যদের উপর নির্যাতন এবং তাদের দেহাংশ এবং মাংস পাচারের অভিযোগ নিয়ে এখনও থমথমে এলাকা। এখনও সেখানে কুকুর-বিড়াল মিলিয়ে ২৬টি প্রাণী বন্দি রয়েছে। দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। তার পর থেকেই ওই বাড়ি তালাবন্ধ। এই অবস্থায় ওই অবোলা জীবদের খাওয়াদাওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সঞ্চিতা মিত্র।
মঙ্গলবার দুপুর থেকেই স্থানীয় কাউন্সিলর দফায় দফায় ওই পোষ্যদের খোঁজখবর নিয়ে তাদের খাবার পাঠিয়েছেন। কিন্তু এলাকাবাসীদের মনে প্রশ্ন, এ ভাবে কত দিন ওই পোষ্যদের গৃহবন্দি হয়ে থাকতে হবে। এ প্রসঙ্গে তাঁরা উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন পর্ণশ্রী থানা এবং স্থানীয় কাউন্সিলরকে। কাউন্সিলর সঞ্চিতা বলেন, ‘‘আমি ওই পোষ্যদের খাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। ওদের নিজের বাড়িতেই রাখতে পারতাম, কিন্তু আমার বাড়িতে বর্তমানে ১১টি কুকুর রয়েছে। তাই ওদের বাড়িতে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ওই পোষ্যদের যাঁরা ক্রেশে রেখে গিয়েছিলেন, তাঁরা নিতে আসছেন কি না, সে দিকে আমাদের নজর রয়েছে। যদি তাদের কেউ নিতে না আসেন, তবে আমরা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে তাদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করব।’’
আগামী শুক্রবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশন। সেই অধিবেশনের দিন গৃহবন্দি থাকা পোষ্যদের বিষয়টি ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষকে জানাতে চান কাউন্সিলর। পর্ণশ্রী থানার তরফেও ওই বাড়ির প্রতি বিশেষ নজর রাখা হয়েছে, যাতে কোনও ভাবেই পোষ্যদের কোনও ক্ষতি না হয়। প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে, আর মঙ্গলবার সকালেই থানায় দু’টি পৃথক অভিযোগ জমা পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই ক্রেশের বিরুদ্ধে মৃত কুকুর- বিড়ালের দেহাংশ এবং মাংস বিভিন্ন রেস্তরাঁয় পাচারের অভিযোগ আনেন। স্থানীয় বাসিন্দার থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ক্রেশের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাও থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন। সেই ঘটনার তদন্তের জেরে এখন গৃহবন্দি দশা অবোলা পোষ্যদের।