বাড়ি ফিরলেন আহত সীতা

গত ২ অক্টোবর, গাঁধী জয়ন্তীর সকালে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল নাগেরবাজারের কাজিপাড়া। ঘটনায় আহত হয়েছিলেন সীতা। মৃত্যু হয় তাঁর আট বছরের ছেলে বিভাস ঘোষের। তার পর থেকেই এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন সীতাদেবী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ০১:৩০
Share:

ফেরা: ছেলের সঙ্গে সীতা। সোমবার, এসএসকেএমে। নিজস্ব চিত্র

নাগেরবাজারের বিস্ফোরণ-কাণ্ডে গুরুতর আহত হয়েছিলেন বাগুইআটির অর্জুনপুরের খালপাড়ের বাসিন্দা সীতা ঘোষ। সেই ঘটনার ৪০ দিন পরে, সোমবার এসএসকেএম থেকে ছাড়া পেলেন সীতাদেবী।

Advertisement

গত ২ অক্টোবর, গাঁধী জয়ন্তীর সকালে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল নাগেরবাজারের কাজিপাড়া। ঘটনায় আহত হয়েছিলেন সীতা। মৃত্যু হয় তাঁর আট বছরের ছেলে বিভাস ঘোষের। তার পর থেকেই এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন সীতাদেবী। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে এ দিন অর্জুনপুরের বাড়িতেই ফেরেন তিনি।

সীতাদেবীর বড় ছেলে বিকাশ দমদম কে কে হিন্দু অ্যাকাডেমির দশম শ্রেণির ছাত্র। আগামিকাল, বুধবার থেকে তার টেস্ট পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। সীতাদেবী হাসপাতালে আর্জি জানিয়েছিলেন যেন ছেলের জন্য তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

সীতাদেবীর দেওর দীপেঞ্জয় বলছেন, ‘‘বৌদি চিকিৎসকদের বলছিলেন, আমার এক ছেলে চলে গিয়েছে। আর বিকাশও আমায় দেখতে চায়, আমিও তাই চাই। হাসপাতালে থাকলে ওর পরীক্ষায় সমস্যা হবে।’’

বিস্ফোরণের অভিঘাতে সীতাদেবীর এক কানে শুনতে সমস্যা হচ্ছিল। তাঁর কানের চিকিৎসা শুরু হলেও এখনও তিনি পুরোপুরি ভাবে সেরে ওঠেননি। চিকিৎসকেরা সীতাদেবীকে দশ দিন পরে ফের হাসপাতালের নাক-কান-গলার বহির্বিভাগে দেখানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

তবে তাঁর ক্ষতস্থানগুলি অনেকটাই শুকিয়েছে। হাঁটাচলাও প্রায় স্বাভাবিক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement