ডেঙ্গি মোকাবিলা

অভিযান শুরু হাসপাতালে

কলকাতায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি মেয়র এবং মেয়র পারিষদের। কিন্তু দাবি যা-ই হোক না কেন, শহর লাগোয়া পুর এলাকায় যে হারে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে কপালে ভাঁজ পড়েছে কলকাতা পুর প্রশাসনেরও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৬ ০০:১২
Share:

দেখি কী হাল? বেথুন স্কুলে মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ। — নিজস্ব চিত্র

কলকাতায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি মেয়র এবং মেয়র পারিষদের। কিন্তু দাবি যা-ই হোক না কেন, শহর লাগোয়া পুর এলাকায় যে হারে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে কপালে ভাঁজ পড়েছে কলকাতা পুর প্রশাসনেরও। সে ভাঁজ আরও বেড়েছে, ডেঙ্গি আক্রান্তের বেশির ভাগই কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায়। আশঙ্কা, আক্রান্তের থেকে এডিস এজিপ্টাই মশার মাধ্যমে ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়তে পারে কলকাতার অন্য অংশেও। বিপদ বুঝে তাই আজ, শুক্রবার থেকে শহরের বিভিন্ন নার্সিংহোম ও হাসপাতাল চত্বরে মশা নিধন অভিযান শুরু করছে কলকাতা পুরসভা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ জানান, হাসপাতালের আনাচ-কানাচে জল জমে রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখবে পুরসভার র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স। তাঁর কথায়, ‘‘বছরের শুরু থেকেই শহরের সব প্রতিষ্ঠানকে জল জমতে না দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। এর পরেও গাফিলতি থাকলে পুর আইনে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নোটিস ধরানো হবে।’’ বুধবার পর্যন্ত কলকাতা পুর এলাকায় ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৩৫। স্বভাবতই বিষয়টি নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন। অতীনবাবু জানান, চলতি বছরে শহরের ১৭৬৫টি প্রতিষ্ঠানকে নোটিস ধরানো হয়েছে। আর ১৭ জনের বিরুদ্ধে পুর আদালতে মামলা হয়েছে। ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া রোধেই এমন কড়া হতে হচ্ছে বলে জানান অতীনবাবু।

সল্টলেকে এক বেসরকারি স্কুলে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত দুই পড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় হওয়ার পরে নবান্নে স্বাস্থ্য দফতরের অফিসার ও কলকাতা ও লাগোয়া পুরসভার মেয়রদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরেই অভিযান শুরু করে পুরসভা। এ দিন উত্তর কলকাতার একাধিক স্কুল-কলেজে মেয়র পারিষদের নেতৃত্বে অভিযান চলে। অতীনবাবু জানান, বেথুন স্কুলের কিছু জায়গায় জমা জলে ডেঙ্গির জীবাণুবাহী এডিস মশার লার্ভা মিলেছে। ওই স্কুল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে। তবে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে স্কটিশ চার্চ কলেজের ভূমিকা মডেল হওয়া উচিত বলে মনে করেন অতীনবাবু। দু’বছর আগে সেখানে পুরসভার টিম এডিস, অ্যানোফিলিস মশার লার্ভা পায়। তখনই তাদের সতর্ক হতে বলা হয়। তার পরেই কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান অতীনবাবু। পুর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা তপনকুমার মুখোপাধ্যায় জানান, বছরের শুরুতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে চারটি ভাষায় পুরসভার ছাপানো পুস্তিকা পাঠানো হয়েছে। সেটি মানলে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে দাবি তাঁর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement