লোহার রড চুরির অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, আন্তঃরাজ্য পাচার-চক্রের সদস্য তারা। পশ্চিম বন্দর থানার পুলিশ সম্প্রতি এই চক্রের চার জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে বারাণসীর মোগলসরাই থানাতেও লোহার সামগ্রী চুরির অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ জানায়, ২০১৬-র ২৮ নভেম্বর পাহাড়পুরের এক কারখানা থেকে প্রায় ৩৫ মেট্রিক টন লোহার রড নিয়ে একটি লরি নেপালের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। তার দাম ছিল প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা। ২০ ডিসেম্বর নেপাল পৌঁছনোর কথা থাকলেও লোহার রড না পৌঁছনোয় লরির মালিক ও চালকের বিরুদ্ধে পশ্চিম বন্দর থানায় অভিযোগ হয়। পুলিশ গাড়ির মালিক বিকাশ যাদব ও চালক সঞ্জিতকুমার সাউকে গ্রেফতার করে। সঞ্জিত ও বিকাশ এখন জেলে। তাদের জেরা করে ধরা হয় হাওড়ার রাধেশ্যাম সাইনি ও প্রদীপ সাইনিকে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই লোহার রড মাঝপথে রাধেশ্যাম ও প্রদীপকে বিক্রি করেছিল বিকাশ এবং সঞ্জিৎ। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, অতীতেও বিকাশ ও সঞ্জিৎ লোহার সামগ্রী পাচার করে রাধেশ্যাম ও প্রদীপকে বিক্রি করেছিল। ইতিমধ্যেই বারাণসীর চাকুলি থানার পুলিশ এই চার জনকে নিজেদের হেফাজতে নিতে আদালতে আর্জি জানিয়েছে। সেখানেও লোহা পাচারের অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে।
পশ্চিম বন্দর থানার মামলায় প্রদীপ জামিন পেলেও বাকি তিন জন এখন জেল হেফাজতে। ডিসি (বন্দর) সুদীপ সরকার বলেন, ‘‘ধৃতদের জেরা করে পাচার-কাণ্ডে আরও কয়েক জনের নাম উঠে আসছে। পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে।’’