—ফাইল চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন এক গবেষক। এই নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির আচরণে তাঁর জীবনহানির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে পাল্টা অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষক।
গবেষকের অভিযোগ, তাঁর ফেলোশিপ গ্র্যান্ট আটকে দিয়েছেন ভূতত্ত্বের ওই শিক্ষক-গাইড। নিজের রোজকার কাজও করিয়েছেন তাঁকে দিয়ে। ২২ জানুয়ারি সহ-উপাচার্য প্রদীপকুমার ঘোষকে নিয়ে গঠিত এক সদস্যের তদন্ত কমিটি ওই শিক্ষককে ডেকে পাঠান। শিক্ষক কিছু নথি জমা দিতে চান। কিন্তু সহ-উপাচার্য তা নেননি। শিক্ষক বলেন, ‘‘সহ-উপাচার্য জানান, উনি যা বলবেন, আমি শুধু তার উত্তর দিতে পারব। উনি সে-দিন অসম্ভব মানসিক চাপ দিয়েছেন। অসুস্থ হয়ে পড়ি। সম্প্রতি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলাম। জিজ্ঞাসাবাদের দিন মনে হচ্ছিল, আমার জীবনসংশয় হবে।’’ শিক্ষকের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে আনা যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন।
উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানান, সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। আইন অনুযায়ী যা হওয়ার হবে। গবেষকের গ্র্যান্ট দেওয়া হয়েছে। ইনস্ট্রুমেন্টেশন সায়েন্স বিভাগের এক গবেষিকা তাঁর গাইডের বিরুদ্ধে চাপ দিয়ে টাকা আদায়ের যে-অভিযোগ করেছেন, সেই বিষয়টিরও যথাযথ তদন্ত হবে।
নিজস্ব সংবাদদাতা