Jadavpur University

প্রাক্তনীদের পাশে চেয়ে নতুন নীতির পথে যাদবপুর

আরও কয়েকটি ব্যাচও বিভাগের বা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তৎপর বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:২৩
Share:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।

পঠনপাঠন ও পরিকাঠামোর প্রসারে মুশকিল আসানের খোঁজে প্রাক্তনী-নীতি গড়ে তোলার পথে এগোচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই পথ দেখাচ্ছে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। গত তিন বছরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার ২৫ বছর উদ্‌যাপন করতে সিভিলের তিনটি ব্যাচ পর পর অবদান রাখতে এগিয়ে আসে। এ বার চতুর্থ বছরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ২০০০ সালের ব্যাচ বিভাগের জন্য তিনটি স্মার্ট ক্লাসরুম দিয়েছে। স্নাতকোত্তর স্তরের জন্য এই ক্লাসঘরগুলি প্রযুক্তির মাধ্যমে যুগোপযোগী নিবিড় শিক্ষাদানে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন যাদবপুর কর্তৃপক্ষ। আরও কয়েকটি ব্যাচও বিভাগের বা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তৎপর বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন প্রধান, অধ্যাপক শিবনাথ চক্রবর্তী বলছিলেন, ‘‘এর আগে ১৯৯৭-এর ব্যাচ তাদের ২৫ বছর পূর্তির আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কিছু করতে চেয়ে তৎকালীন উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে জানিয়েছিল। তিনিই বলেন, বিভাগে যোগাযোগ করতে।’’ ১৯৯৭-এর সিভিলের ব্যাচ যাদবপুরের একটি কম্পিউটার ল্যাব আধুনিকীকরণ করে এবং একটি ক্লাসঘরকে স্মার্ট ক্লাসরুমে রূপান্তরিত করে। ১৯৯৮-এর ব্যাচ ল্যাবরেটরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইউনিভার্সাল টেস্টিং মেশিন দিয়েছে। জরুরি একটি দামি সফটওয়্যার দিয়েছে ১৯৯৯-এর ব্যাচও। সুযোগ-সুবিধা মতো বিভিন্ন ব্যাচ ১৩-১৪ লক্ষ থেকে ২৫-৩০ লক্ষ টাকাও সংগ্রহ করছে বলে দেখা গিয়েছে। ১৯৯৩-এর সিভিলের ব্যাচও তাদের ৩০ বছর পূর্তির সময় থেকে এনভায়রনমেন্টাল ল্যাবরেটরিতে গুরুত্বপূর্ণ এএসপি পরিকাঠামো গড়তে তৎপর। শীঘ্রই সেই চেষ্টা কার্যকর হবে। সিভিলের বর্তমান বিভাগীয় প্রধান অনুপম দেব সরকার জানাচ্ছেন, এখন ২৫ বছর পূর্তি হলেই বিভাগের জন্য কিছু করা পরম্পরা হয়ে গিয়েছে। যাদবপুরের শিক্ষক মহলের বড় অংশই মানছেন, এখন কেন্দ্র ও রাজ্য, দুই সরকারই রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিকাঠামোয় নিরুত্তাপ। এই পরিস্থিতিতে প্রাক্তনীদের সাহায্য অত্যন্ত জরুরি।

দীর্ঘ দিন যাদবপুরের প্রাক্তনী সেলের দায়িত্বে ছিলেন সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্ত। তিনি এই বিষয়টিতে অনেক দিন ধরে তৎপর। উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে একটা রীতি তৈরি হয়েছে। আমরা দেখছি, ঠিক এ ভাবে অন্য পুরনো ব্যাচগুলিকে সজাগ করে প্রাক্তনী নীতি তৈরি করা যায় কিনা। তা হলে সব বিভাগেই পরিকাঠামোগত সাহায্য আসবে।’’ সিভিলের প্রাক্তনী মীনাক্ষী সাহা জানান, স্মার্ট ক্লাস উদ্বোধনে দেশ, বিদেশ থেকে সতীর্থ প্রাক্তনীরা এসেছিলেন। আগামী ৩ জানুয়ারি যাদবপুরের প্রাক্তনী দিবস। সে দিন আইআইটি-র অধিকর্তা সুমন চক্রবর্তী আসবেন। তিনিও যাদবপুরের প্রাক্তনী। সে দিনও প্রাক্তনী নীতি গঠন নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন