আন্দোলনরত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। —ফাইল চিত্র।
নিগৃহীত হলেও ছাত্রছাত্রীদের নাম প্রকাশ্যে আনবেন না। এমকি তাঁদের নামে অভিযোগ করতেও রাজি হননি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। এ কথা তিনি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও জানিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে দেখতে চান, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রতিবাদ করতে গিয়ে কারা উপাচার্যকে নিগ্রহ করেছেন। তা নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করতে চলেছে যাদবপুর। যদিও উপাচর্যকে নিগ্রহের ঘটনার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। ভুল কথা বলা হচ্ছে।
লোকসভা ভোটের আগে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে সরব যাদবপুরের পড়ুয়ারা। কর্ম সমিতির বৈঠকে পড়ুয়াদের মতামত না শুনে উপাচার্য, সহ উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রার বেরিয়ে যাওয়ার সময় পথ আটকান তাঁরা। পড়ুয়াদের এই বিক্ষোভের মধ্যে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন উপাচার্য। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকুরিয়ার একটি হাসপাতালে। সেখানে দেখতে গিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: সল্টলেকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে নামালেন কন্ডাক্টর, পায়ের আঙুল বাদ গেল ছাত্রীর
আরও পড়ুন: ‘মাস্টারমশাই’কে দেখতে ভিড় কোর্টে
এই ঘটনায় কারা জড়িত, জানতে চেয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। সে দিন তিনি কারও নাম বলেননি ঠিকই। কিন্তু এটা বলেছিলেন, কারা এই ঘটনায় জড়িত, তাঁদের আমি চিনি। উপাচার্যের কথায়: “আমি আগে একজন শিক্ষক। তার পর উপাচার্য। ফলে আমি ছাত্রছাত্রীদের নামে অভিযোগ জানাতে চাই না।”
(কলকাতা শহরের রোজকার ঘটনার বাছাই করা বাংলা খবর পড়তে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।)