‘প্রতারণা’, জেল হেফাজত সেনা অফিসারের

ব্যাঙ্কশাল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানান, নথি জাল করার অভিযোগে মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশালের ওই বিচারক স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলাটি দায়ের করেন।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৯ ০৩:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

ভুয়ো নথি জমা দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে লুধিয়ানায় কর্মরত সেনাবাহিনীর এক লেফটেন্যান্ট জেনারেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল আদালত। শুধু তা-ই নয়, ওই সেনা অফিসারকে জেল হেফাজতে পাঠানোরও নির্দেশ দিয়েছেন ব্যাঙ্কশাল আদালতের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট।

Advertisement

ব্যাঙ্কশাল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানান, নথি জাল করার অভিযোগে মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশালের ওই বিচারক স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলাটি দায়ের করেন। ৩১ জুলাই পর্যন্ত অভিযুক্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিক্রম সিংহকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

লালবাজার সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত বছর দেড়েক আগে। বিক্রমের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অন্য এক অফিসার তাঁর স্ত্রীকে মোবাইলে বিরক্ত করার অভিযোগ সাইবার ক্রাইম থানায় দায়ের করেন। সেই মামলায় জামিন পান লেফটেন্যান্ট জেনারেল। পরে সাইবার অপরাধের ধারায় অভিযুক্ত করে ব্যাঙ্কশাল আদালতে বিক্রমের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন সাইবার শাখার তদন্তকারীরা। পুলিশের একটি অংশ জানিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী চার্জশিট জমা পড়ার পরে আদালতে থাকতে হয় অভিযুক্তকে। কিন্তু তিনি বারবার আদালতে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। এর পরেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করে আদালত। সেই মতো মে মাসে আদালতে হাজির হন বিক্রম। আদালত সূত্রের খবর, আদালতে হাজির না থাকতে পারার কারণ হিসেবে ওই দিন একটি চিঠি দেন তিনি। অভিযোগ, সেনাবহিনীর এক পদস্থ কর্তার স্বাক্ষর-সহ চিঠিতে দাবি করা হয়, অভিযুক্ত দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে কোথায় ছিলেন বা কী করছেন কিছু বলা যাবে না।

Advertisement

লালবাজারের দাবি, চিঠির বয়ান নিয়ে সন্দেহ হয় বিচারকের। সাইবার অপরাধ থানাকে বিষয়টি দেখতে বলেন তিনি। তা নিয়ে তদন্ত শুরু করে। তদন্তে জানা যায়, চিঠিটি ভুয়ো। সেনাবাহিনীর তরফে ওই রকম কোনও চিঠি দেওয়া হয়নি বলে গোয়েন্দারা চলতি সপ্তাহে আদালতকে জানান।

পুলিশ সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের ওই রিপোর্ট ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে আসার পরেই বিচারক স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে হেয়ার স্ট্রিট থানায় প্রতারণা-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জেল হেফাজতেও পাঠান। পরে পুলিশ ওই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে নতুন ভাবে তদন্ত শুরু করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন