Jamtara Fraudsters

কলকাতার সিম দিয়ে প্রতারণা চালাচ্ছিল জামতাড়া গ্যাং

তদন্তকারীরা জানান, যে নম্বর থেকে ফোন এসেছিল অভিযোগকারীর কাছে, সেটি কলকাতার নম্বর।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:০৪
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

জামতাড়া গ্যাংয়ের সঙ্গে কলকাতার যোগ!

Advertisement

লালবাজার সূত্রের খবর, বৌবাজার থানার একটি প্রতারণার মামলার তদন্তে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, কলকাতার থেকে কেনা মোবাইল সিম দিয়েই ফোন করে এক লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছে জামতাড়া গ্যাংয়ের সদস্যেরা। তদন্তকারীরা বৃহস্পতিবার মহেশতলা থেকে ওই রিঅ্যাক্টিভেটেড সিম বিক্রি করার অভিযোগে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ব্যাঙ্কশাল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি দীপনারায়ণ পাকড়াশি জানান, ধৃতের নাম অরিজিৎ ঘোষ। তার বাড়ি মহেশতলা এলাকায়। ধৃতকে শুক্রবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এর আগে ওই মামলায় ভবানীপুরের বাসিন্দা অন্য এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। যার আধার কার্ড-সহ বিভিন্ন পরিচয়পত্র দিয়ে অরিজিৎ একটি সিম তুলে নিয়েছিল। যা পরে জামতাড়া গ্যাংয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

পুলিশ জানায়, ঘটনার সূত্রপাত গত বছর দিল্লিতে। অভিযোগকারী কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসক। বৌবাজার থানায় দায়ের করা অভিযোগে তিনি জানান, তাঁর বাবা দিল্লিতে নিয়মিত আপ-ক্যাব ব্যবহার করতেন। ভাড়া নিয়ে সমস্যা দেখা দেওয়ায় তিনি কলকাতায় থাকা ছেলেকে জানান। পুলিশের দাবি, অভিযোগকারী ওই জুনিয়র চিকিৎসক গুগলে সার্চ করে একটি কাস্টমার কেয়ার নম্বর পান। ওই নম্বরে ফোন করা হলে তারা জানায় কিছু ক্ষণ বাদে ফোনে করে অভিযোগ নথিভুক্ত করবেন। সেই মতো কিছু ক্ষণ বাদে ওই নম্বর থেকে ফোন করে একটি লিঙ্ক পাঠিয়ে তা ওপেন করতে বলা হয়।

Advertisement

তদন্তকারীরা জানান, ওই লিঙ্কে ক্লিক করার পরেই প্রথম দফায় ওই অভিযোগকারীর অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কিছু টাকা কেটে নেওয়া হয়। ওই অভিযোগকারী টাকা কেটে নেওয়ার কথা বললে প্রথমে তাঁকে বলা হয় ওই টাকা ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু পর পর ১০ বার তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ১ লক্ষ টাকা কেটে নেওয়া হয়। এর পরে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে তিনি বৌবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যার ভিত্তিতে গত মাসে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

তদন্তকারীরা জানান, যে নম্বর থেকে ফোন এসেছিল অভিযোগকারীর কাছে, সেটি কলকাতার নম্বর। সেই ফোন নম্বরের সূত্র ধরেই প্রথমে ভবানীপুরের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। যাঁর নামে সিম রয়েছে। পুলিশের দাবি, ওই ব্যক্তি জেরার মুখে জানান, শরৎ বসু রোডের একটি শোরুম থেকে তিনি একটি সিম তুলেছিলেন সব নথি জমা দিয়ে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই ব্যক্তির জমা দেওয়া নথি এবং তাঁর বায়ো মেট্রিক দেখিয়ে ওই সিম তুলে নেয় ধৃত অরিজিৎ। যা পরে জামতাড়া গ্যাংয়ের হাতে পৌঁছে যায়।

এক তদন্তকারী জানান, কী ভাবে ওই সিম সেখানে গেল সেটাই জানার চেষ্টা চলছে। অরিজিৎ তার জামতাড়া যোগ অস্বীকার করেছে বলেই দাবি পুলিশের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন