প্রতীকী ছবি।
বিচারক নির্দেশ দিয়েছিলেন, একটি অর্থলগ্নি সংস্থার আমানতকারীকে কী ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তার ভিডিয়ো ফুটেজ নিয়ে আদালতে আসতে হবে সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসারকে। পরপর দু’বার সেই নির্দেশ কার্যকর না হওয়ায় শুক্রবার ক্ষোভ প্রকাশ করলেন আলিপুর আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট প্রদীপকুমার গঙ্গোপাধ্যায়। এ দিন তিনি পুনরায় নির্দেশ দিয়েছেন, যদি ১৫ জানুয়ারি ওই ফুটেজ নিয়ে তদন্তকারী অফিসার না আসেন, তা হলে হয় কোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে, নয়তো ওই অফিসারকে হাইকোর্ট থেকে তাঁর নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসতে হবে।
পুলিশ জানায়, জনৈক নারায়ণ চন্দ্র-সহ অর্থলগ্নি সংস্থা রোজভ্যালির কিছু আমানতকারী বালিগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন, তাঁদের টাকা সংস্থা ফেরত দিচ্ছে না। উল্টে হোটেল ব্যবসা থেকে লাভ করছে। আলিপুর আদালতের বিচারক সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসার ব্রতীন ঘোষালের কাছে জানতে চান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও সিবিআই ওই অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন? শুনানিতে নারায়ণ চন্দ্রের আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, তাঁর মক্কেলকে ব্রতীনবাবু ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে হেনস্থা করেছেন। যার জেরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ওই আইনজীবী জানান, বিচারক এর আগে তদন্তকারীকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিয়ো ফুটেজ আদালতে আনার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার পরে সিবিআই হাইকোর্টে মামলা করে জানায়, রাজ্য পুলিশ তদন্তে সহযোগিতা করছে না। সেই মামলার ফয়সালা না হলে আলিপুর আদালতের নির্দেশ মানতে পারবেন না ওই অফিসার।
কিন্তু ওই অফিসার এখনও পর্যন্ত আলিপুর আদালতের নির্দেশের উপরে হাইকোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ আনতে পারেননি বলে জানান দিব্যেন্দুবাবু। হাইকোর্টের বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদের আদালতে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১৭ ডিসেম্বর।