প্রশান্ত ভূষণ। ফাইল চিত্র।
বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা যেমন জরুরি, ততটাই জরুরি একে দুর্নীতিমুক্ত রাখা— বিচারব্যবস্থাকে ঘিরে সাম্প্রতিক বেশ কিছু ঘটনাবলী এবং বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে এই মন্তব্য প্রশান্ত ভূষণের। শনিবার কলকাতা হাইকোর্টে ‘বিচার ব্যবস্থার দায়িত্ব’ সম্পর্কিত এক আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখতে এসেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের এই প্রখ্যাত আইনজীবী।
আইন পেশার পাশাপাশি দেশের সামাজিক-রাজনৈতিক বিভিন্ন ইস্যুতেও নানা ভাবে সক্রিয় তিনি। বিচার ব্যবস্থার ভিতরের সমস্যা নিয়েও অতীতে অনেক বার মুখ খুলেছেন প্রশান্ত। এ দিন তাঁর বক্তৃতায় এসেছে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক বিচারপতি ‘বিদ্রোহ’ থেকে শুরু করে লখনউ মেডিক্যাল কলেজ মামলার প্রসঙ্গ।
লখনউয়ের মেডিক্যাল কলেজ ঘুষ মামলার সিবিআইয়ের ফোনে আড়ি পাতার যে টেপ ফাঁস হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে প্রধান বিচারপতিকেই ঘুষ দেওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে। টেপে শোনা যাচ্ছে, ইলাহাবাদ হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে সুবিধেজনক রায় পেতে ‘ক্যাপ্টেন’ বলে কাউকে ঘুষ দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। তাকে ‘৫০০ গামলা’ ঘুষ দেওয়ার কথা হচ্ছে। তদন্ত নিয়ে ভূষণের সঙ্গে কার্যত এক মত চার ‘বিদ্রোহী’ বিচারপতি।
আরও পড়ুন: ভূষণের দাবিতে চাপ বাড়ল প্রধান বিচারপতির উপর
ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা নতুন কিছু নয়। এ দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার এই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভে বেশ কয়েক বারই দুর্নীতির কালি লেগেছে। প্রশান্ত ভূষণ বলেন, দুর্নীতিমুক্ত না হতে পারলে সাধারণের কাছে বিচার ব্যবস্থা নিয়ে ভুল বার্তা যাবে। একই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আইনজীবীদেরও কাজের ক্ষেত্রে আরও দায়িত্ববান হওয়া উচিত।’’
এ দিনের আলোচনা সভায় প্রশান্ত ভূষণ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন আইনজীবী তথা রাজনৈতিক নেতা অরুণাভ ঘোষ, মানবাধিকার আন্দোলনের নেতা সুজাত ভদ্র-সহ অনেকে।