শেষ অনুষ্ঠানে কালিকাপ্রসাদ। —নিজস্ব চিত্র।
শেষটা হল জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে। সাতচল্লিশের অকাল প্রয়াণের আগের দিন। রাজারহাট-গোপালপুরে কৃষিমেলার এক অনুষ্ঠানে। লোকগানের ভাণ্ডার উপুড় করে উপহার ঢেলে দিয়েছেন শ্রোতাদের। অনুষ্ঠানও শেষ হয়ে গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও গানের অনুরোধ উড়ে এল কালিকাপ্রসাদের দিকে।
বাউল, ঝুমুর, সারিগান, বিহু, ভাটিয়ালি, চটকা বা ভাওয়াইয়া নয়— জাতীয় সঙ্গীত দিয়েই শেষ হোক অনুষ্ঠান। এমনই প্রস্তাব দিলেন বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত এবং কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। আরও এক বার অনুরোধ এল দোলা সেনের কাছ থেকে। তত ক্ষণে মঞ্চ থেকে নেমে চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়িয়ে ফেলেছেন কালিকাপ্রসাদ। কিন্তু, সে অনুরোধ ফেরাতে পারলেন না। এ বার দলের সকলকে নিয়ে ফের মঞ্চে পা রাখলেন কালিকা। গাইলেন জাতীয় সঙ্গীত। সেটাই ছিল কালিকাপ্রসাদের শেষ অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন
গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রয়াত দোহারের কালিকাপ্রসাদ
ভীষণ কষ্ট হচ্ছে, ভয় হচ্ছে, মিস করছি কালিকা…
আমার এখনও ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না
হাসিখুশি ছেলেটা এ ভাবে চলে গেল?
এই খবর শুনব বলেই কি বেঁচে আছি?
মৃত্যুর গান, দুঃখের গান— সব ছাপিয়ে এখন কালিকার মুখই ভেসে উঠছে