Calcutta News

‘চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দায়িত্ব পালন করুন’, সুরঞ্জনকে ত্রিপাঠী

যাদবপুরে প্রবেশিকা বিতর্কের মাঝেই পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন উপাচার্য। তবে শেষমেশ উপাচার্যের পরামর্শই মেনে নিলেন সুরঞ্জন দাস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৮ ১৫:৫৮
Share:

শনিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। —ফাইল চিত্র।

আপাতত নিজের পদে থেকেই দায়িত্ব পালন করবেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।

Advertisement

উপাচার্যের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও সুরঞ্জন দাসকে নিজের দায়িত্ব পালন করার পরামর্শ দিলেন আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। যাদবপুরে প্রবেশিকা বিতর্কের মাঝেই পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন উপাচার্য। এবং প্রবেশিকা ফেরার পর তিনি ঘোষণা করেছিলেন, “এ ভাবে কাজ চালানো যায় না। আমি রাজ্যপালের কাছে অব্যাহতি চাইব।” তবে শেষমেশ আচার্যের পরামর্শই মেনে নিলেন সুরঞ্জন দাস।

এ দিন রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন সুরঞ্জনবাবু। এবং তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির কথা জানিয়ে বলেন, “চিকিৎসক তাঁকে বেশি মানসিক চাপ নিতে বারণ করেছেন।” পাশাপাশি যাদবপুরের পরিস্থিতি নিয়েও আচার্যকে বিস্তারিত ভাবে জানান তিনি। তাঁর এই শারীরিক পরিস্থিতিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানিয়ে দেন। এবং সবশেষে রাজ্যপালের কাছে উপাচার্যের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার অনুরোধ করেন সুরঞ্জনবাবু। রাজ্যপালের প্রেস সচিব মানব বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেন, “সুরঞ্জন দাশের সব কথা শোনার পর কেশরীনাথ ত্রিপাঠী তাঁকে উপাচার্যের পদে থেকেই নিজের দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দেন। পাশাপাশি তাঁকে শারীরিক পরিস্থিতির দিকেও খেয়াল রাখতে বলেন।” দু’জনের মধ্যে প্রায় দেড় ঘণ্টা আলোচনা হয়। তার পর সুরঞ্জনবাবু রাজভবন থেকে বেরিয়ে যান। যদিও তিনি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে কোনও মন্তব্য করেননি।

Advertisement

আরও পড়ুন: দেখা করতে কেশরীকে চিঠি সুরঞ্জনের

আরও পড়ুন: চাপের মুখে মেধাতালিকা প্রকাশ প্রেসিডেন্সিতে, অর্ধেক জয় বলছেন পড়ুয়ারা

যাদবপুরে প্রবেশিকা ফেরানোর দাবিতে ৯৬ ঘণ্টা অনশন চালিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন শিক্ষক সংগঠন জুটা। বিভিন্ন বিভাগীয় অধ্যাপকরাও ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে সরে এসেছিলেন। পড়ুয়া এবং অধ্যাপকদের যৌথ আন্দোলনের জেরে কলা বিভাগের ভর্তি প্রক্রিয়ার সিদ্ধান্ত নিতে আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকে চিঠি লিখেছিলেন উপাচার্য। আচার্য গোটা বিষয়টি জানার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে উপাচার্যকেই পরামর্শ দেন। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বৈঠকের পর কর্মসমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ৫০:৫০ ফর্মুলায় কলা বিভাগে ভর্তি নেওয়া হবে। অর্থাৎ ৫০ শতাংশ নম্বর প্রবেশিকা পরীক্ষা থেকে এবং উচ্চ মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বরের উপর ভিত্তিতে ৫০ শতাংশ নম্বর দেওয়া হবে বলে স্থির হয়। কিন্তু, উপাচার্য ক্ষোভের সঙ্গে জানিয়ে দেন, এই সিদ্ধান্তে তিনি সহমত নন। সেই সঙ্গে দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি নেবেন। যদিও আচার্যের পরামর্শে আপাতত তিনি যাদবপুরের উপাচার্য পদেই বহাল থাকছেন বলে জানা গিয়েছে।

(এই খবরটি প্রথম প্রকাশিত হওয়ার সময় একটি জায়গায় কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকে আচার্যের পরিবর্তে উপাচার্য লেখা হয়েছিল। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন