Kolkata News

১২ মিনিটে মুকুন্দপুর থেকে এসএসকেএমে পৌঁছল মৃতের কিডনি

হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়, একটি কিডনি দেওয়া হবে ওই হাসপাতালেরই এক রোগীকে। অন্যটি দেওয়া হবে এসএসকেএমহাসপাতালের এক রোগীকে। মৃতের শরীর থেকে প্রতিস্থাপনের পর শুক্রবার গ্রিন করিডরের মাধ্যমে ১২ মিনিটের মধ্যেই একটি কিডনি পাঠিয়ে দেওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। মৃতের দু’টি কর্নিয়া সল্টলেকের রোটারি নারায়ণ নেত্রালয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আর এন টেগোর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৯ ১২:১১
Share:

যাঁর কিডনি ও চোখ প্রতিস্থাপিত হল আর এন টেগোর হাসপাতালে। শুক্রবারের নিজস্ব চিত্র।

মাত্র ১২ মিনিট। তারই মধ্যে শহরের এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে পৌঁছে গেল মৃতের একটি কিডনি। প্রায় ১৭ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে। প্রতিস্থাপনের জন্য।

Advertisement

বারুইপুরের বাসিন্দা, ৬০ বছর বয়সী মহাদেব মণ্ডলের দু’টি কিডনিই প্রতিস্থাপনের জন্য নেওয়া হয় শুক্রবার, আর এন টেগোর হাসপাতালে। তাঁর পরিবার অঙ্গদানের ইচ্ছা প্রকাশ করায়। আর এন টেগোর হাসপাতালে বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় ওই প্রবীণের। তার পরেই তাঁর পরিবার ওই প্রবীণের বিভিন্ন অঙ্গদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেন চিকিৎসকদের কাছে। তারই প্রেক্ষিতে মৃতের দু’টি কিডনি ও কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন আর এন টেগোর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়, একটি কিডনি দেওয়া হবে ওই হাসপাতালেরই এক রোগীকে। অন্যটি দেওয়া হবে এসএসকেএম হাসপাতালের এক রোগীকে। তার পরেই শুক্রবার গ্রিন করিডরের মাধ্যমে ১২ মিনিটের মধ্যেই একটি কিডনি পাঠিয়ে দেওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। মৃতের দু’টি কর্নিয়া সল্টলেকের রোটারি নারায়ণ নেত্রালয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আর এন টেগোর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

আর এন টেগোর হাসপাতাল সূত্রের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বারুইপুরের বাসিন্দা ওই ৬০ বছর বয়সী প্রবীণ গত ১ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি হন ‘ইনট্রাক্রেনিয়াল হেমারেজ’ নিয়ে। তিনি ছিলেন স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের অধীনে। কোমায় থাকা ওই রোগীর আর জ্ঞান ফেরেনি। গত কালই তাঁর ‘ব্রেন ডেথ’ ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তার পরেই তাঁর পরিবার ওই প্রবীণের অঙ্গদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেন চিকিৎসকদের কাছে। কিন্তু বয়সের কারণে তাঁর হৃদপিণ্ডটি প্রতিস্থাপনের জন্য কাজে লাগানো যায়নি। তাঁর লিভারটি নেওয়ার জন্যেও কোনও রোগী পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন- দৈনিক ২০ লক্ষ টাকার জল অপচয়! ​

আরও পড়ুন- চেন্নাইকে জল দিতে পারে এই শহর, তা সত্ত্বেও সঙ্কটের আশঙ্কা​

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন